SSC Case: SSC-দুর্নীতির প্রতিবাদে গান বেঁধে পোস্ট, হেনস্থার অভিযোগ সঙ্গীতশিল্পীর
Coochbehar News: অযোগ্য়দের জন্য় রাতারাতি চারি চলে গেছে যোগ্য়দেরও। সেই অসহায় শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের যন্ত্রণা সুরের মাধ্য়মে ফুটিয়ে তুলেছিলেন তিনি।

শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: SSC-দুর্নীতির (SSC Case) প্রতিবাদে গান বেঁধে সোশাল সাইটে পোস্ট করায় এবার পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থা করার অভিযোগ করলেন কোচবিহারের সঙ্গীতশিল্পী। আতঙ্কে একসপ্তাহের ওপর ঘরছাড়া মাথাভাঙার ওই বাসিন্দা। শিল্পীর পরিবারের দাবি, প্রশাসন সুরক্ষা দিয়ে ঘরের ছেলের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করুক। মাথাভাঙা থানা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, গানের জন্য নয়, অন্য একটি কারণে ডেকে পাঠানো হয় শিল্পীকে।
পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থা করার অভিযোগ : অযোগ্য়দের জন্য় রাতারাতি চারি চলে গেছে যোগ্য়দেরও। সেই অসহায় শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের যন্ত্রণা সুরের মাধ্য়মে ফুটিয়ে তুলেছিলেন তিনি। আর তার জন্য়ই কি তৃণমূলের রোষানলে পড়তে হচ্ছে কোচবিহারের বাসিন্দা সঙ্গীতশিল্পী মণীন্দ্র বর্মনকে? তাঁর নিজের লেখা ও সুর দেওয়া এই গান ফেসবুকে পোস্ট করতেই ভাইরাল হয়। সঙ্গীতশিল্পীর দাবি, তারপর থেকেই বাড়িতে হানা দিচ্ছে মাথাভাঙা থানার পুলিশ। আতঙ্কে ঘর ছেড়েছেন তিনি। শিল্পীর অভিযোগ, "গত ১২-১৩ তারিখ থেকে আমার বাড়িতে পুলিশি উৎপীড়ন শুরু হয়। পুলিশ আসছে আমাদের বাড়িতে, এসে আমাকে খুঁজছে।ওঁরা বলেন মণীন্দ্র বর্মন গান আপলোড দিয়েছে, সেই গানটাকে ডিলিট করতে হবে। এবং মণীন্দ্র বর্মনকে আমাদের সামনে নিয়ে আসুন, ওঁকে থানায় যেতে হবে। প্রত্যেকদিন, মুহূর্তে-মুহূর্তে পুলিশ আসছে আমার বাড়িতে। এমনটা যেন মনে হয় আমি যেন বড় ক্রিমিনাল, আমি কোনও বড় অন্যায় করে ফেলেছি!''
এক্স হ্যান্ডলে এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, "হীরক রাজার সিনেমায় দেখেছি, এক বাউল গান গেয়েছে সেটা হীরক রাজার পছন্দ হয়নি বলে তাঁকে হাত-পা ধরে জঙ্গলে ভেতরে গর্তে রেখে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সেই হীরকরাজা পার্ট টু চলছে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় হচ্ছেন হীরক রানি।'' পাল্টা তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায় বলেন, "শিল্পীর স্বাধীনতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকা উচিত বলে আমার মনে হয় না। তবে কেন পুলিশ গিয়েছে, তার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা, গান উদ্দেশ্য কিনা, সেটা আমার জানা নেই। বিজেপির যাঁরা বলছে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই, তাঁরা উত্তরপ্রদেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন।''
মাথাভাঙা থানা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, গানের জন্য নয়, অন্য একটি কারণে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। যদিও কী কারণ বিষয়টি স্পষ্ট করেনি পুলিশ। যদিও এবিষয়ে কিছুই জানা নেই বলে দাবি করেছেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার। ঘরছাড়া শিল্পীর বাবা নারায়ণ বর্মনের অভিযোগ, "কাগজ (অভিযোগের) দেখাতে পারল না। বলল কাগজ আনিনি। ওপরের থেকে চাপ দিয়েছে তাই আমরা এসেছি। মণীন্দ্র বর্মন (ছেলে) ও নিজে একজন হার্টের পেশেন্ট, আমি নিজেও একজন হার্টের পেশেন্ট।''






















