Sukanta Majumder: চাকরিহারাদের টাকা ফেরত দেওয়া হোক মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে: সুকান্ত মজুমদার
SSC Case: এদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "চাকরিহারাদের টাকা ফেরত দেওয়া হোক মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে।''

কলকাতা: SSC-র ২০১৬ সালের পুরো প্য়ানেলই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের রায় বহাল রইল। শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে চাকরি খোয়ালেন ২৫ হাজার ৭৫২ জন। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে এবার তৃণমূলকে এক হাত নিল বিজেপি।
চাকরি হারিয়ে হাহাকার। প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। এদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "চাকরিহারাদের টাকা ফেরত দেওয়া হোক মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে। টাকা আদায় করা হোক তৃণমূলের কাছ থেকেও, কারণ টাকা গিয়েছে তৃণমূলের কাছেই। ক্যাবিনেট যদি সিদ্ধান্ত নেয় চোরদের বাঁচাতে হবে, তাহলে ওই ক্যাবিনেটের যিনি মাথা, যাঁর অনুপ্রেরণায় সব হয়, তিনি সহ গোটা ক্যাবিনেটের উচিত জেলে থাকা। যোগ্যদের বাঁচানোর জন্য আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। প্রয়োজনে আবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া যায় কিনা তাও দেখতে হবে।''
২০২৪-এর ২২ এপ্রিল ২০১৬-র SSC-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ, ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করে। ফলে চাকরি যায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন এবং যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের ১২ শতাংশ সুদ-সহ বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে, ২০২৪-এর ২৪ এপ্রিল, সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার, SSC এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় চাকরিহারাদের একাংশও। চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি, সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি শেষ হয়। ৫২ দিনের মাথায় এই মামলার রায়দান করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ গোটা প্যানেলই বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে।
গতকাল প্রধান বিচারপতি বলেন, "আমাদের মতে, এটা এমন একটা মামলা, যেখানে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই দূষিত হয়ে গেছে এবং এমনভাবে দূষিত ও কলুষিত হয়ে গেছে, যে সংশোধনের রাস্তা নেই। ব্যাপকভাবে কারচুপি ও জালিয়াতি হয়েছে, এগুলোকে চাপা দেওয়ার প্রচেষ্টা হয়েছিল, তার জন্য পুরো বাছাই প্রক্রিয়া সংশোধন করার জায়গায় নেই। গোটা বাছাই প্রক্রিয়ায় আইনি বৈধতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বলে কিছুই ছিল না। আমরা হাইকোর্টের নির্দেশের কিছু পরিবর্তন করেছি। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করার মতো কোনও কারণ খুঁজে পাইনি। যেহেতু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বৃহত্তর পরিসরে জালিয়াতি এবং প্রতারণা হয়েছে, তাই আমরা হস্তক্ষেপ করার কোনও কারণ দেখতে পাইনি।''






















