SSC Case Hearing: 'এটাই আসল সমস্যা...', চাকরি বাতিল মামলায় কী নিয়ে সংশয়-সন্দিহান সুপ্রিম কোর্টও ?
Supreme Court: কোন ফর্মুলায় যোগ্য-অযোগ্য আলাদা? আজও অধরা সূত্র। সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিত।

কলকাতা : এখনও চিন্তামুক্ত হতে পারলেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বলা ভালো, যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কবে, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে তাঁদের মনে। চিন্তিত শুধু তাঁরাই নন, দিশা দেখাতে পারছেন না কোনও পক্ষের আইনজীবীই। যোগ্য-অযোগ্য বিতর্কে সংশয় প্রকাশ করছেন খোদ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও। তিনি বলছেনও, 'আমাদের কাছে আসল OMR নেই, এটাই আসল সমস্যা। পঙ্কজ বনসলের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া OMR নিয়ে আমরাও সন্দিহান।'
এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রাথমিক প্রশ্ন ছিল, যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব কি না। সম্ভব হলে কোন পদ্ধতিতে এই পৃথকীকরণ সম্ভব ? এই প্রশ্ন বারবার সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে করা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত মামলাটি বিচারাধীন। আজ সমস্ত সওয়াল জবাব শেষ হয়ে গেছে। রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, চূড়ান্ত পর্যায়ে রায়দান এর পরে সুপ্রিম কোর্টের তরফে দেওয়া হবে। কিন্তু, এই মুহূর্ত পর্যন্ত যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করা কী করে সম্ভব, তার কোনও দিশা সুপ্রিম কোর্টের কাছে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। কোনও পক্ষের আইনজীবী, সেটা সরকারি পক্ষের আইনজীবী হতে পারেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষের আইনজীবী হতে পারেন, সেটা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী বা অন্যান্য আইনজীবীরা হতে পারেন...কোনও পক্ষের তরফেই কীভাবে আলাদা করা সম্ভব তা জানানো সম্ভব হয়নি।
আজ প্রধান বিচারপতির কাছে যে পর্যবেক্ষণ সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই যে পঙ্কজ বনসলের কাছ থেকে যে ওএমআর শিটগুলো পাওয়া গিয়েছিল, যে শিটগুলো সিবিআইয়ের তরফ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল, যে হার্ডডিস্কগুলো উদ্ধার করা হয়েছিল, সেগুলো আদৌ কতটা সঠিক বা সেগুলো আদৌ আসল কি না...সেটা নিয়েও সুপ্রিম কোর্ট সন্দিহান।
প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, এই মামলার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের কাছে কোনও আসল ওএমআর নেই । যে ওএমআরের ভিত্তিতে এই আলাদা বা পৃথকীকরণের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। কাজেই শীর্ষ আদালতের পক্ষে এই কাজটা সহজে করা সম্ভব হচ্ছে না। তার কারণ, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, তার আসল ওএমআর কারও কাছে নেই। স্কুল সার্ভিস কমিশন বা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ...অন্যান্য কোনও পক্ষের কাছে নেই। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে যে ওএমআরগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলিই একমাত্র হাতিয়ার। সেই ওএমআরগুলো নিয়ে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলছেন, তাহলে আমাদের এই মুহূর্ত কী করণীয়? আদালতের মনে হচ্ছে, এই যে পঙ্কজ বনসলের কাছ থেকে যে নথি, হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে বা যে ওএমআর উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলি আসল কি না তা নিয়ে আদালত নিশ্চিত হতে পারছে না। এই পরিস্থিতির কী করে সমাধান বের করা সম্ভব তা নিয়ে এদিন দুপুর ২টো থেকে শুনানির শেষ পর্যন্ত আলোচনা হলেও, কোনও তরফে আইনজীবীর তরফে তার দিশা দেখানো সম্ভব হয়নি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
