SSC: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আটক আরও ১ মিডলম্যান
সোদপুর ঘোলার নিরঞ্জন পল্লী থেকে আটক সুব্রত মালাকার। ইডির হাতে আটক সুব্রত মালাকার
কলকাতা: SSC দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে আটক আরও এক মিডলম্যান। সোদপুরের ঘোলা, কেষ্টপুর-সহ এদিন ৪ জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। ঘোলার নিরঞ্জন পল্লি থেকে আটক করা হয় মিডলম্যান সুব্রত মালাকারকে। ইডি সূত্রে দাবি, তদন্তে সহযোগিতা করেননি সুব্রত। ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই মিডলম্যানকে আটক করা হয়। ইডি সূত্রে দাবি, প্রসন্ন রায়, প্রদীপ সিং ছাড়াও নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত আরও কয়েকজন মিডলম্যানের হদিশ মিলেছে। সেই সূত্রেই তল্লাশি।
কিছুদিন আগে SSC দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায়কে আটক করে সিবিআই। আরও সম্পত্তির হদিশ পেল CBI। এর আগেও তাঁর বহু সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সূত্রের দাবি, মহিষবাথানের বিলাসবহুল আবাসন মার্লিন অ্যাভিনিউয়ের টাওয়ার ফাইভে 3A ফ্ল্যাটের মালিক প্রসন্নকুমার রায়। এদিন দুপুরে, এই আবাসনে আসেন CBI’এর ৪ অফিসার।
দেড় ঘণ্টা তল্লাশি
সম্প্রতি প্রায় দেড় ঘণ্টা ফ্ল্যাটের বাইরে অপেক্ষা করতে হয় CBI’এর ৪ গোয়েন্দাদের। পরে, আবাসনের অফিস থেকে মাস্টার-কি এনে ফ্ল্যাটে ঢোকেন তাঁরা। সূত্রের দাবি, ২০১৭ সালে এই ফ্ল্যাটটি কেনেন প্রসন্নকুমার রায় । প্রায় দেড় ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা।
কীভাবে উত্থান প্রসন্নর
এই প্রসন্নর আর্থিক উত্থান ঈর্শনীয়। নারকেলডাঙার এই টালির চালের ভাড়া বাড়িতে যাঁর একসময় কেটেছিল, তাঁরই এখন নিউটাউনে একাধিক ফ্ল্যাট সল্টলেকে অফিস, সেই সঙ্গে সিনেমায় প্রযোজনা। SSC-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মিডলম্যান প্রসন্নকুমার রায়ের জীবনের উত্থান যেমন রকেট গতিতে হয়েছিল তেমনি তাঁর প্রতিপত্তিও বেড়েছে একইভাবে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর পাঁচেক আগে নারকেলডাঙার ভাড়া বাড়ি ছেড়ে নিউটাউনের বলাকা আবাসনে আসেন প্রসন্ন। নিউটাউনের বলাকা আবাসনে প্রসন্নকুমার রায় ছাড়াও ফ্ল্যাট রয়েছে প্রদীপ সিংয়ের। আরও এক মিডলম্যান সন্দেহে যাঁকে প্রসন্নর আগেই গ্রেফতার করেছে CBI। CBI সূত্রে দাবি, নিউটাউনে এরকম আরও অনেক ফ্ল্যাট রয়েছে প্রসন্নকুমারের। যেমন রয়েছে এই আইডিয়াল ভিলাতেও।
রবিবার হাওড়ার গাদিয়াড়ায়, চলন্তিকা নামে এই হোটেলের সামনে প্রতিবাদ জানায় বিজেপি। সূত্রের খবর, হোটেল এবং হোটেলের জমি প্রদীপ সিংহের নামে রয়েছে। কিন্তু এখানকার ম্যানেজার জানিয়েছেন হোটেলের মালিক প্রসন্নকুমার।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে দাবি, ২০১৪ থেকে প্রসন্নর কার রেন্ট সংস্থা থেকে শান্তিপ্রসাদ নিয়মিত গাড়ি নিতেন। এমনকী শিক্ষা দফতরেও প্রসন্নর সংস্থার গাড়ি, নিয়মিত ভাড়া খাটার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন শান্তিপ্রসাদ। সেই সুবাদেই দু’জনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, প্রসন্নর উপরে মূলত উত্তর ২৪ পরগনার অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করার দায়িত্ব ছিল। এখন কয়েকদিন অন্তরই একের পর এক সম্পত্তি সামনে আসায়, বেবাক সকলে।