SSC Scam: এবার প্রাক্তন CBI কর্তা উপেন বিশ্বাসের দ্বারস্থ চাকরিহারারা ; বললেন, 'সঠিক পথেই এগোচ্ছে..'
Job Losers On SSC Scam : আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা প্রাক্তন সিবিআই কর্তার

রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: এবার প্রাক্তন CBI কর্তা উপেন বিশ্বাসের দ্বারস্থ চাকরিহারারা। সল্টলেকে উপেন বিশ্বাসের বাড়িতে সাক্ষাৎ চাকরিহারারা। 'ওরা অনেকের কাছেই গিয়েছে, আন্দোলন করছে। সঠিক পথেই এগোচ্ছে চাকরিহারা শিক্ষকরা', আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা প্রাক্তন সিবিআই কর্তার।
দীর্ঘক্ষণ কথোপকথনের পর আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস।প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস বলেন,'যে পথে ওঁরা এগোচ্ছে, আমি বলব সঠিক পথ। ইংরেজরা সবসময় একটা কথা বলে, সমস্ত সমস্যার শেষে কিছু না কিছু রাস্তা খোলা থাকেই। আমি যেটা বলেছি, সেটা জোর করেই কেড়ে নেব।' এদিকে, প্রাক্তন সিবিআই কর্তার সঙ্গে বৈঠকের পর, আগামী দিনে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বলে জানান চাকরিহারাদের একাংশ।
আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাস বলেন, ২২ লক্ষ যা OMR আছে, সেটা প্রকাশের দাবিতে আমি সুমন বিশ্বাস সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইকে পার্টি করে মামলা করেছি। এই OMR প্রকাশিত হলে একজনও যোগ্য বঞ্চিত হবেন না। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ফ্রেশ সিলেকশন..তাঁরা পাপ ধুয়ে ফেলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই চাকরিচোর সরকার আবার একটা ফন্দি এঁটেছে। এই ফন্দি আমরা রুখে দেব। এই আবহে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসক শিবির।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'এই বাংলায় সবাই যোগ্য়, একজনই অযোগ্য়, তাঁর নাম মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ছাব্বিশে পাল্টে দিন। 'তৃণমূল-কংগ্রেস রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, যারা চাকরিহারা তাদের মধ্যে নানা যন্ত্রণা আছে, তাঁরা সকলের মতামত নিতেই পারে। এখন মুশকিল হচ্ছে, যারা তাদের চাকরি খেয়েছেন, আমি উপেনবাবুর কথা বলছি না, এসব বাম-রামের যারা। ওঁরা(চাকরিহারারা) তাদের সঙ্গেও বৈঠক করছেন। চাকরিহারাদেরও বুঝতে হবে পাশে কে আর যন্ত্রণায় ফেলে দিয়ে রাজনীতি করছে কারা?
গত ৩ এপ্রিল ২০১৬-র SSC-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরি হারান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মী মিলিয়ে প্রায় ২৬ হাজার জন। পরে অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত নন এমন শিক্ষকদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত মে মাসে, রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
কিন্তু, চাকরিজীবনের এতগুলো বছর পার করার পরে ফের নতুন করে চাকরির পরীক্ষায় বসতে নারাজ নিজেদের যোগ্য বলে দাবি করা চাকরিহারারা। লাগাতার আন্দোলনে অনড় তাঁরা। গত ২৪ মে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য আইনি পরামর্শ নিতে আইনজীবী ও সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বাড়িতে যান চাকরিহারাদের একাংশ। গত ২৫ মে ঠিক তার পরের দিনই আবার বিচারপতি ও বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তাঁরা। আর এবার সিবিআই-এর প্রাক্তন কর্তার দরজায় কড়া নাড়লেন চাকরিহারাদের একাংশ।কী লেখা আছে তাদের ভবিষ্যতে? কবে আবার সসম্মানে স্কুলে ফিরবেন চাকরিহারারা? সে প্রশ্নই থেকে যাচ্ছে আবার।






















