SSC Scam: মানিক-জমানায় ঘুষ দিয়ে কাদের চাকরি? তালিকার খোঁজে ইডি
ED Investigation: ইডি সূত্রের খবর, ঘুষ দিয়ে স্কুলে চাকরি হয়েছে, খোঁজ চলছে মিডলম্যানদেরও। কয়েকজনকে চিহ্নিতও করা হয়েছে বলে খবর ইডি সূত্রে।
প্রকাশ সিনহা, দীপক ঘোষ ও রুমা পাল, কলকাতা: নিয়োগে দুর্নীতি। সেই দুর্নীতির তথ্য পেতেই মানিক ভট্টাচার্যকে টানা জেরা করছে ইডি। অভিযোগ, মানিককে ঘুষ দিয়ে তাঁর জমানায় একাধিক চাকরি হয়েছে। সেইভাবে কারা চাকরি পেয়েছেন, সেই তালিকা তৈরির চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রের খবর, ঘুষ দিয়ে স্কুলে চাকরি হয়েছে, খোঁজ চলছে মিডলম্যানদেরও। মানিক ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিতও করা হয়েছে বলে খবর ইডি সূত্রে।
শুভেন্দুর নিশানায় মমতা:
নিয়োগ দুর্নীতি-তদন্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'দুর্নীতির ষড়যন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আইনের ঊর্ধ্বে নন। প্রয়োজনে নবান্নে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।'
সাদা খাতায় চাকরি!
যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও, চাকরি না পেয়ে অনেকে যখন এখনও রাস্তার ধারে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তখন, শুধুমাত্র সাদা ওএমআর শিট বা সাদা খাতা জমা দিয়েও অনেকে চাকরি পেয়েছেন বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই-এর বাজেয়াপ্ত করা সেই 'সাদা খাতা'র একাংশ এবিপি আনন্দর হাতে এসেছে। এই আবহেই এবার কারা কারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন? তার তালিকা তৈরির চেষ্টা করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতারের পর, তাঁকে আদালতে তুলে ইডি'র তরফে দাবি করা হয়েছিল, মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ির ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে ২টি ফোল্ডার পাওয়া গেছে। সেখান থেকে পাওয়া গেছে ৬১ জন প্রার্থীর নাম। এর মধ্যে ৫৫ জনের নাম তালিকায় যুক্ত করা হয়েছিল।
ইডির দাবি:
আদালতে ED’র আইনজীবী আরও দাবি করেছেন, মানিক ভট্টাচার্যের আমলে, ২০১১ সালের পর থেকে ৫৮ হাজারেরও বেশি নিয়োগ করা হয়েছে। এই অবস্থায় ইডি সূত্রে দাবি, মিডলম্যানদের খোঁজ চলছে। ইতিমধ্যেই মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিতও করা হয়েছে। এই মিডলম্যানদের সাহায্য নিয়ে কারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন? তার হদিশ পেতে চাইছে ED।
দিনভর জেরা:
বুধবার দিনভর জেরা করা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে। সূত্রের খবর, জেরা চলাকালীন অসুস্থতার কথা জানান মানিক ভট্টাচার্য। যদিও, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে দাবি, জোকার ইএসআই (ESI) হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষায় কোনও অসুস্থতা ধরা পড়েনি। তদন্তকারীদের দাবি, অসুস্থতার ভান করে জেরা এড়াতে চাইছেন মানিক ভট্টাচার্য। আদালতে এইকথা জানানো হবে বলেও ইডি সূত্রে দাবি।
২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। গত বিধানসভা নির্বাচনে নদিয়ার পলাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের তরফে জিতে বিধায়ক হন মানিক ভট্টাচার্য। টেট-দুর্নীতি মামলায় চলতি বছরের ২০ জুন মানিককে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২২ জুলাই মানিকের ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডি-র অফিসাররা। ২৭ জুলাই, মানিক ভট্টাচার্যকে প্রথমবার তলব করে ইডি।
আরও পড়ুন: সামান্য বেতন, সংসারে প্রবল টানাটানি, সব ভুলে রাসচক্র তৈরিতে ডুবে যান আলতাফ