SSKM Rare Operation: কৃত্রিম ভাবে হার্ট ও ফুসফুস চালু রেখে হৃদযন্ত্র থেকে বাদ টিউমার, জটিল অস্ত্রোপচার এসএসকেএমে
Rare Operation in Kolkata: কিন্তু কী কারণে স্ট্রোক? MRI রিপোর্টে চিকিৎসকরা দেখেন, হৃদযন্ত্রে টিউমার রয়েছে। টিউমারের কিছু অংশ ভেঙে চলে গিয়েছে রক্তনালিকায়। তার থেকেই স্ট্রোক বলে নিশ্চিত হন চিকিৎসকরা।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: কৃত্রিম ভাবে হার্ট (Heart) ও ফুসফুস (Lungs) চালু রেখে, স্ট্রোকে (Stroke) আক্রান্ত রোগিণীর হার্ট থেকে বাদ দেওয়া হল টিউমার। এসএসকেএমে (SSKM) জটিল অস্ত্রোপচারের পর এখন অনেকটাই সুস্থ রোগিণী।
জটিল অস্ত্রোপচার এসএসকেএমে: ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেসে ভর্তি করা হয়েছিল শ্রীরামপুরের বাসিন্দা পিয়ালি নন্দীকে। চিকিৎসকরা দেখেন, রোগিণীর শরীরের একটা বড় অংশ অসাড় হয়ে গেছে। সিটি স্ক্যান করে দেখা যায়, বড়সড় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন পিয়ালি। কিন্তু কী কারণে স্ট্রোক? MRI রিপোর্টে চিকিৎসকরা দেখেন, মহিলার হৃদযন্ত্রে টিউমার রয়েছে। টিউমারের কিছু অংশ ভেঙে চলে গিয়েছে রক্তনালিকায়। তার থেকেই স্ট্রোক বলে নিশ্চিত হন চিকিৎসকরা। এরপর রোগিণীকে এসএসকেএমের কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে বেশ কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর, এক সপ্তাহ আগে জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়।
কী বলছেন চিকিৎসকরা? বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেসের নিউরো মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক অদ্রীশ মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রথমে অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক ছিল। একটা দিক কাজ করছিল না। কথা জড়িয়ে গিয়েছিল। ইকোকার্ডিওগ্রাফি করে দেখা যায় হার্টে টিউমার রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় যে, হার্টে যে টিউমার রয়েছে তা জানান দেয় স্ট্রোকের মাধ্যমে। বিশেষত কম বয়সী যাঁদের স্ট্রোক হয় তাঁদের একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ টিউমার।’’ হাসপাতাল সূত্রে খবর, রোগিণীর হার্ট থেকে পুরো টিউমার সফল ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। রোগিণীর ফুসফুস ও হার্ট কৃত্রিম ভাবে সচল রেখে, এসএসকেএমের কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি বিভাগে ওই অপারেশন করা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় ছিলেন কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি বিভাগ এবং নিউরো মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞরা। এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি বিভাগের প্রফেসর শান্তনু দত্ত বলেন, “টিউমারটা নির্মূল করতে পেরেছি। নিউরো রিহ্যাবিলিটেশনের মাধ্যমে আশা করা যায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যাবে।’’ হাসপাতাল সূত্রে খবর, অস্ত্রোপচারের পর এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন রোগিণী। রোগিণীর মেয়ে জানিয়েছেন, “মা অনেক দিন ধরে অসুস্থ। আমাকে উচ্চ মাধ্যমিকে একাই পড়তে হয়েছে। মাকে সুস্থ করে বাড়ি নিয়ে যেতে পারলে খুশি হব।’’
আরও পড়ুন: KMC: হকারদের মাথার ওপরে টিনের ছাউনি, শহরের ফুটপাতকে প্লাস্টিকমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ