Purba Medinipur: সর্বভারতীয় নিট পরীক্ষায় ২২ তম স্থান দখল মহিষাদলের দেবাঙ্কিতা বেরার, খুশির হাওয়া পরিবারে
NEET Exam: সর্বভারতীয় নিট পরীক্ষায় ২২তম স্থান দখল করে শিরোনামে মহিষাদলের দেবাঙ্কিতা বেরা। রাজ্য়ের নিরিখে তাঁর rank তৃতীয়। দেবাঙ্কিতার এই সাফল্যে খুশির হাওয়া স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: সর্বভারতীয় নিট (All India NEET Exam) পরীক্ষায় ২২তম স্থান দখল করে শিরোনামে মহিষাদলের (purba medinipur) দেবাঙ্কিতা বেরা। রাজ্য়ের (west bengal) নিরিখে তাঁর rank তৃতীয়। দেবাঙ্কিতার এই সাফল্যে খুশির হাওয়া স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে।
নিট-এ সাফল্য...
মোট ৭২০ নম্বরের মধ্যে দেবাঙ্কিতার প্রাপ্ত নম্বর ৭০৫। মহিষাদল গয়েশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়েই পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন কৃতী ছাত্রী। ২০২০ সালে মাধ্যমিকে একাদশ স্থান অর্জন করার পর মহিষাদল রাজ হাইস্কুলে পঠনপাঠন শুরু করেন তিনি। ২০২২ সালেই উচ্চ মাধ্য়মিক দিয়েছেন দেবাঙ্কিতা। ফল বেরোনোর পর থেকে খড়্গপুরের একটি প্রতিষ্ঠানে নিট-র প্রশিক্ষণ নেন। নিয়মিত চর্চা ও সঠিক প্রশিক্ষণের মেলবন্ধনেই সাফল্য পেয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের ওই ছাত্রী। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ছোটবেলা থেকেই দেবাঙ্কিতা অত্যন্ত মেধাবী। তবে তাঁর সাফল্যের নেপথ্যে বাবা-মায়ের অবদানও যে নেহাত কম নয় সেটা জানিয়েছেন কৃতী কিশোরী নিজেই। দেবাঙ্কিতার বাবা চংরাচক জগদীশ স্মৃতি বিদ্য়াপীঠের গণিত শিক্ষক, মা পড়ান মামুদপুর গোবিন্দপুর শিক্ষা নিকেতনে। তাঁর বিষয় বাংলা। এই দুজনের সহযোগিতা এবং একান্ত অধ্যবসায়েই সাফল্য এনে দিয়েছে দেবাঙ্কিতাকে, জানাচ্ছেন ঘনিষ্ঠ ও পরিজনেরা।
সাফল্য গত বছরও...
অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকা, NEET-এ বাংলার কোনও পড়ুয়ার এমন সাফল্য এটাই অবশ্য প্রথম নয়। গত বার নিট-এ ১৯তম স্থান অধিকার করেছিলেন এ রাজ্য়ের সৌম্যদীপ হালদার। আদতে বাঁকুড়ার বাসিন্দা সৌম্যদীপ জানিয়েছিলেন, দিল্লি AIIMS-এ পড়তে চান তিনি। ৭২০-র মধ্যে ৭১৫ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সৌম্যদীপ। একা তিনি নন। বাংলা থেকে সফল কৃতী পড়ুয়াদের তালিকায় ছিলেন, হাওড়ার দিল্লি পাবলিক স্কুল, পানিহাটির সেন্ট জেভিয়ার্স ইনস্টিটিউশন এবং পার্কস্ট্রিট এপিজে স্কুলের পড়ুয়ারাও। কিন্তু বেশিরভাগ কৃতীরই ইচ্ছা ছিল ভিন রাজ্যে পড়তে যাবেন। এরকম কেন? দেবাঙ্কিতাও কি এই পথেই হাঁটবেন? এই মুহূর্তে অবশ্য পড়ুয়ার সাফল্যই উদযাপন করতে চাইছেন তাঁর আশপাশের মানুষ ও ঘনিষ্ঠরা। তবে কৃতী কিশোরী নিশ্চয়ই কিছু ভেবে রেখেছেন। কী সেই ভাবনা? জানা যাবে অল্প কিছু দিনের মধ্যে।
আপাতত শুভেচ্ছা ও অভ্য়র্থনার বন্যা দেবাঙ্কিতার বাড়িতে।