Subiresh Bhattacharya:অধ্যক্ষ পরিষদ থেকে অপসারিত জেলবন্দি সুবীরেশ ভট্টাচার্য, সিদ্ধান্ত কোচবিহারের বৈঠকে
All Bengal Principals' Council: অবশেষে অধ্যক্ষ পরিষদ থেকে অপসারিত জেলবন্দি সুবীরেশ ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন সুবীরেশ। কোচবিহারে অধ্যক্ষ পরিষদের বৈঠকেই এদিন তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: অবশেষে অধ্যক্ষ পরিষদ (All Bengal Principals' Council) থেকে অপসারিত জেলবন্দি সুবীরেশ ভট্টাচার্য (subiresh bhattacharya sacked)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (recruitment scam) এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন সুবীরেশ। কোচবিহারে (coochbehar meeting) অধ্যক্ষ পরিষদের বৈঠকেই এদিন তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তৈরি হচ্ছে অ্যাড হক কমিটি। আগামীদিনে পদাধিকারী নির্বাচন করবে এই কমিটি।
ইঙ্গিত ছিলই...
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক বসেছিলেন অধ্যক্ষরা। তার পরই শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'সরকার আইন বহির্ভূত কাজ করবে না, ভুল থাকলে সংশোধন করে নিতে বলেছি।' প্রসঙ্গত, অধ্যক্ষদের একাংশের অভিযোগ ছিল, তিনি জেলে বসে সংগঠন পরিচালনা করছেন। কোন জাদুবলে সুবীরেশ এখনও অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি? প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। সঙ্গে বলা হয়, অন্তত মুখরক্ষার খাতিরে পদত্যাগ করুন সুবীরেশ। তীব্র চাপের মুখের অধ্যক্ষ পরিষদ জানিয়েছিল, ২২ জানুয়ারি সম্মেলনে প্রত্যেক পদে নতুন লোক আসবে। তার পরই এই সিদ্ধান্ত।
প্রেক্ষাপট...
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর CBI-এর হাতে গ্রেফতার হন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। বর্তমানে তিনি জেলবন্দি রয়েছেন। গ্রেফতারির পর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং হিলস ইউনিভার্সিটির উপাচার্যর পদ থেকে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হলেও, জেলবন্দি অবস্থায় এখনও নিখিলবঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি পদে বহাল ছিলেন তিনি। ৬ বছর ধরে ওই পদেই ছিলেন, একদা শ্যামাপ্রসাদ কলেজ থেকে লিয়েন নেওয়া অধ্যক্ষ সুবীরেশ। প্রসঙ্গত, নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় গত ডিসেম্বরে সুবীরেশ ভট্টাচার্যর জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের (high court) ডিভিশন বেঞ্চ (division bench)। সেই সময়ই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ বলেন, 'দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। এতে এক দিকে অযোগ্যদের চাকরি দিয়ে যোগ্যদের বঞ্চিত করা, অন্য দিকে অযোগ্যদের হাতে আগামী প্রজন্মের শিক্ষার ভার তুলে দেওয়া হয়েছে।' সঙ্গে আরও বলা হয়, এই ভাবে আগামী প্রজন্মকে অনিশ্চয়তায় দিকে ঠেলে দেওয়া আসলে চরম প্রতারণা। উল্লেখ্য, মাসখানেকও আগেও শোনা গিয়েছিল, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না তিনি, আদালতে দাবি করে সিবিআই (CBI)। ‘সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে জেলে গিয়ে জেরা করা হয়েছে, আবার জেরা করা হবে। সেজন্যই তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়। সেই সময় সুবীরেশের অধীনে কাজ করা ৪ কর্মীকে তলবও করে সিবিআই। সুবীরেশের নির্দেশ পালন করেছেন এসএসসি-র ওই ৪ কর্মী, সূত্রের খবর এমনই।