Kaushik Ganguly Exclusive: সিনেমা বদলেছে, পেশাদার অভিনেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে সুযোগ পাচ্ছি: কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়
Kaushik Exclusive: যখন কাজ শুরু করেছিলেন কৌশিক, তখন সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমা ছিল না মোটেই। বর্তমানে ছবির প্রচারের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।
কলকাতা: ছবি বদলাচ্ছে, ছবির ভাষাও বদলাচ্ছে। জুটি বলতে এখন শুধু নায়ক নায়িকা নন, পরিচালক-অভিনেতা থেকে শুরু করে ডিওপি-পরিচালককেও জুটি বলা যায়। ঠিক যেমন 'কাবেরী অন্তর্ধান' (Kaberi Antardhaan)-এর পোস্টার জুড়ে রয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) আর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly)-র ছবি।
দর্শকদের পছন্দের সঙ্গে সঙ্গে ছবির ভাষা বদলে ফেলছেন পরিচালকেরা? কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, 'আমার সঙ্গে প্রসেনজিৎ-এই নিয়ে ৪ নম্বর ছবিতে কাজ। দৃষ্টিকোণ-এ যেমন একাধিক নায়িকা, আবার জ্যেষ্ঠপুত্রে কোনও নায়িকাই নেই। এই ছবিতেও সেভাবে কোনও নায়িকাই নয়। অথচ পোস্টারে জুটির ছবি রয়েছে। ছবির নায়িকা থাকলে বুম্বাদার ছবির নীচে নায়িকার ছবি থাকত। সেখানে একটা দাড়িওয়ালা মোটাসোটা লোকের ছবি রয়েছে। সিনেমা বদলেছে। এই মানুষগুলোকে দর্শক জায়গা দিয়েছে বলেই এখন 'কেদারা', 'কাঙাল মালসাট'-এর মতো ছবি হচ্ছে। প্র্যাঙ্কেনস্টাইন, শিকারপুর-এর মতো ওয়েব সিরিজ হচ্ছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছি আমি। দর্শকই তো আমায় অভিনেতা তৈরি করেছেন। আমার বহু ছোটবেলার সাধ আজকে মধ্যজীবনে এসে আস্তে আস্তে পূর্ণ হচ্ছে। এখন আমি বুঝতে পারি আমি পেশাদার অভিনেতা।'
যখন কাজ শুরু করেছিলেন কৌশিক, তখন সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমা ছিল না মোটেই। বর্তমানে ছবির প্রচারের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। এই পরিবর্তনকে কীভাবে দেখেন পরিচালক অভিনেতা? কৌশিক বলছেন, 'আমি ছবির প্রচার ছাড়া তেমন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি না। পরিবারের খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করি মাত্র। রাজনৈতিক বা সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মতামত প্রকাশ করি না। আমার মনে হয় সমস্ত মানুষই জানেন কোথায় কী হচ্ছে। আমার কাজ বিনোদন জগত নিয়ে। আমি চিরকার নিজের কাজের প্রতি সৎ থেকেছি। আমি কেবল জানি আমার কাজ, ছবি যেন একঘেয়ে না হয়ে যায়। নদী যেমন করে গতিপথ বদলায়, তেমন করেই যেন আমি আমার ছবির বিষয় বদলে বদলে এগিয়ে যেতে পারি।'