Lovely Maitra Educational Qualification: 'জানার অধিকার আছে কতদূর পড়াশুনা করেছেন', তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র–র শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর
TMC News: তৃণমূল বিধায়কের শিক্ষাগত যোগ্য়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব মোদি সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র–র শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সোশাল মিডিয়ায় লাভলি মৈত্রর একাধিক সার্টিফিকেটের ছবি পোস্ট করে শানালেন আক্রমণ। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন লাভলি মৈত্রও।
তৃণমূল বিধায়কের শিক্ষাগত যোগ্য়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব মোদি সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। লাভলি মৈত্র বনাম সুকান্ত মজুমদারের এই তরজা ঘিরে গত কয়েকদিনে রাজ্য রাজনীতিতে জোরাল হয়ে উঠেছে নতুন বিতর্ক। সম্প্রতি একাধিক নথির ছবি পোস্ট করে, বিজেপি সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক অরুন্ধতী মৈত্র ওরফে লাভলি মৈত্র–র শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কিছু বিস্ময়কর অসঙ্গতি... সরকারি নথি অনুযায়ী, তিনি ২০২০ সালে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে BA পাস করেছেন। অথচ তাঁর সচিত্র নির্বাচনী প্রচারপুস্তিকায় লেখা, তিনি নাকি সেন্ট পলস কলেজ থেকে ইতিহাসে BA! পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য পরিচিতি পুস্তকে কলেজের নাম বদলে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ‘গোয়েঙ্কা কলেজ’—যেখানে ইতিহাস পড়ানোই হয় না!
এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "আমি জানতে চেয়েছি সত্যিটা কী? কোনও জায়গায় লেখা হচ্ছে উনি গোয়েঙ্কা কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্স পাস করেছেন, কোনও জায়গায় বলা হচ্ছে, উনি নিজে যা অ্যাফিডেভিট দিয়েছেন, তাতে বলছেন উনি কোনও একটি ওপেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, সেখান থেকে নাকি গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। রাজ্য বিধানসভার যে তথ্যসম্ভার সেখানে দেখা যাচ্ছে যে এডুকেশন কোয়ালিফিকেশনের জায়গায় কিছু লেখা নেই। তা এক এক জায়গায় এক একটা কেন?"
এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র। সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "বিধানসভার কোনও বইতে, সদস্য পরিচিতি বই... সেখানে লেখা আছে নেতাজি সুভাষ ওপেন ইউনিভার্সিটি এবং কলেজ হচ্ছে গোয়েঙ্কা কলেজ। দুর্ভাগ্য যে ওঁর এটা জানা নেই যে প্রত্যেকটা ওপেন ইউনিভার্সিটির একটা করে স্টাডি সেন্টার থাকে। আমার ক্ষেত্রে সেই স্টাডি সেন্টারটা ছিল গোয়েঙ্কা কলেজ।"
সোশাল মিডিয়ায় লাভলি মৈত্রর একাধিক সার্টিফিকেটের ছবি পোস্ট করে সুকান্ত মজুমদার আরও লিখেছেন, বিধানসভার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পূর্ণরূপে ফাঁকা। ফলে, খুব সহজেই অনুমেয়, যে রাজ্যে একজন তৃণমূল বিধায়কের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও কারচুপি করা হয়, সেই রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকলে শিক্ষার মানের অবক্ষয় কোন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, "সত্যি কোনটা? সেখানকার মানুষের তো জানার অধিকার আছে যে আমার বিধায়ক বা বিধায়িকা তিনি কতদূর পড়াশুনা করেছেন? বারবার মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা কেন? আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে এটা।"
এর জবাবে লাভলি মৈত্র বলেছেন, "উনি বলছেন কোনও একটা প্রার্থী পরিচিতিতে উনি দেখেছিলেন যে সেন্ট পলস কলেজের উল্লেখ আছে। অবশ্যই। সেটাও ঠিক যে আমি সেন্ট পলস কলেজে পড়তাম। সেখানকার প্রাক্তন ছাত্রী ছিলাম। কিন্তু কোনও কারণে সেন্ট পলস কলেজ থেকে আমি আমার গ্র্যাজুয়েশনটা কমপ্লিট করতে পারিনি আমার প্রফেশনাল রিজনে। আমাকে সেই কলেজটা ছাড়তে হয় তখন। পরবর্তীকালে আমি নেতাজি সুভাষ ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করি।"
রাজনীতিতে ডিগ্রি বিতর্ক নতুন নয়। এবার সুকান্ত মজুমদার ও লাভলি মৈত্রর এই বাগযুদ্ধের জল কোনদিকে গড়ায়, সেটাই দেখার।






















