SSC Scam: SSC-র অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি নিয়ে CBI তদন্তের নির্দেশ খারিজ, রাজ্যের সব সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো যায় না, বলল সুপ্রিম কোর্ট
Supreme Court: এর আগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। আজ খারিজ হল হাইকোর্টের নির্দেশ।

কলকাতা: SSC-র অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি নিয়ে CBI তদন্তের নির্দেশ খারিজ। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে অতিরিক্ত শূন্য়পদ তৈরি নিয়ে CBI তদন্তের নির্দেশ খারিজ করা হল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির নির্দেশ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বার রশিদের ডিভিশন বেঞ্চ। মন্ত্রিসভার অনুমোদনে তৈরি সুপার নিউমেরারি পোস্টে কার কার অনুমোদন ছিল, প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে বলে জানানো হয়েছিল। ওই মামলায় এর আগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। আজ খারিজ হল হাইকোর্টের নির্দেশ। (SSC Scam)
মঙ্গলবার শুনানি শুরু হলে হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। ফলে এই মামলায় স্বস্তি পেল পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এদিন প্রধান বিচারপতি জানান, সুপার নিউমেরারি পদ তৈরির সময় বলা হয়, কলকাতা হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায়ের উপর নির্ভর করবে সবকিছু। স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছিল, মন্ত্রিসভার বিজ্ঞপ্তিতেও একই কথা বলা হয়। তাহলে কেন অতিরিক্ত শূন্যপদ বেআইনি ভাবে তৈরি বলা হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। (Supreme Court)
এদিন প্রধান বিচারপতি জানান, বিজ্ঞপ্তিতে যখন কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়। ২০২২ সালে মামলার শুনানি চলছিল, ওয়েট লিস্টে থাকা প্রার্থীদের জায়গা দেওয়ার জন্যই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়। SSC-র তরফেই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সুপারিশ আসে। SSC এমন অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির আবেদন জানাতেই পারে। সেই মতো বিজ্ঞপ্তি তৈরি করতে পারে রাজ্যের মন্ত্রিসভা। ফলে নিয়ম লঙ্ঘন হয়নি।
শুনানি চলাকালীন CBI তদন্তের নির্দেশ কেন দিল, সেই নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি জানান, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হওয়ার সময় কেউ মন্ত্রিসভার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে CBI তদন্তের দাবি জানাননি। তাহলে কেন হাইকোর্ট CBI তদন্তের নির্দেশ দিল, প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। এর পাশাপাশি, আদালত জানায়, রাজ্যের মন্ত্রিসভার কিছু স্বতন্ত্র ক্ষমতা রয়েছে। যৌথ ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেখানে। রাজ্যের মন্ত্রিসভার সব সিদ্ধান্তকে এভাবে চ্যালেঞ্জ জানানো যায় না। কারণ অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল, হাইকোর্টের রায়ের ওপর চাকরিপ্রাপকদের ভাগ্য নির্ভর করবে। রাজ্যপালের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল, তাই আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। তাই কলকাতা হাইকোর্টের CBI তদন্তের নির্দেশ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত।এর আগে রাজ্য সরকারের তরফেও শীর্ষ আদালতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। প্রশ্ন তোলা হয়, রাজ্য সরকারের সব সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা, হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ, এতে তো গোটা মন্ত্রিসভা জেলে চলে যাবে?
বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাসেই অতিরিক্ত শূন্য়পদ প্রসঙ্গে মন্ত্রিসভার কথা উঠে এসেছিল।২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর, আদালতে উপস্থিত শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের কাছে বিচারপতি অভিজিৎ জানতে চেয়েছিলেন, অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন তৈরি করা হল? উত্তরে শিক্ষাসচিব জানিয়েছিলেন, উপযুক্ত স্তর থেকেই নির্দেশ দেওয়া হয়। ব্রাত্য বসু নির্দেশ দিয়েছিলেন। গতবছর ২২শে এপ্রিল, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বেঞ্চ এ নিয়ে একেবারে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মন্ত্রিসভাকে বড়সড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। বলা হয়, "অতিরিক্ত শূন্য়পদে নিয়োগ নিয়ে CBI তদন্তের উদ্দেশ্য়, এটা সামনে আনা যে, এক্ষেত্রে কী ধরনের দুর্নীতি হয়েছে, কত বড় দুর্নীতি হয়েছে এবং কারা কারা তাতে জড়িত। এটা চমকে দেওয়ার মতো যে, জালিয়াতি করে পাওয়া চাকরি বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল মন্ত্রিসভার মতো জায়গায়। বেআইনি চাকরি প্রাপকদের সুযোগ করে দিতে, অতিরিক্ত শূন্য়পদ তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছিলেন রাজ্য় সরকারের কোন ব্য়ক্তিরা, তা নিয়ে CBI আরও তদন্ত চালাবে। প্রয়োজন পড়লে CBI তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবে।" হাইকোর্টের সেই নির্দেশই খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।






















