ABT Militant Arrested: সীমান্তবর্তী এলাকায় 'হোল্ড' বাড়ানোর নির্দেশ, ধৃত ABT জঙ্গিদের মোবাইলে মিলল একাধিক বিস্ফোরক তথ্য
ABT Militants: দক্ষিণ ভারতেও লোক পাঠানো শুরু করেছিল আনসারুল্লা বাংলা টিমের শীর্ষ নেতৃত্ব। শাদ রাডিকে দক্ষিণ ভারতে যেতে বলার পিছনেও ছিল বিশেষ উদ্দেশ্য।
আবির দত্ত, কলকাতা : আনসারুল্লা বাংলা টিমের ধৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে যে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছিল, সেখান থেকে বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সম্প্রতি এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। ধৃত আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গিদের মোবাইল খতিয়ে দেখে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, এইসব জঙ্গিদের সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়ে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, যাতায়াতের বন্দোবস্ত জঙ্গিদের নিজেদেরই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, এমনটাই জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ সীমান্তবর্তী এলাকা ভালভাবে চিনে নেওয়ার, যোগাযোগ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল আনসারুল্লা বাংলা টিমের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। এছাড়াও সীমান্তবর্তী এলাকায় স্লিপার সেল সক্রিয় করা, স্লিপার সেলে নতুন সদস্য যোগ করে তার আকার-আয়তন বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
এমনকি দক্ষিণ ভারতেও লোক পাঠানো শুরু করেছিল আনসারুল্লা বাংলা টিমের শীর্ষ নেতৃত্ব। শাদ রাডিকে দক্ষিণ ভারতে যেতে বলার পিছনেও ছিল বিশেষ উদ্দেশ্য। ২০২৩ সালে নভেম্বর মাসে ভারতে এসেছিল আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানির খাস লোক ফারহান ইশরাক। এই ব্যক্তি শাদ রাডিকে বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছিল। পরবর্তী শাদ রাডি পুলিশের জালে ধরা পড়তে পারে এই আশঙ্কা করেই তাকে কেরলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরায় জঙ্গিদের সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আনসারুল্লা বাংলা টিমের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে, এমনটাই খবর গোয়েন্দা সূত্রে। আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গিদের টার্গেটে ছিল শিলিগুড়ির চিকেনস নেক।
অসম এসটিএফ- এর অপারেশন প্রঘাতে দেশের এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে বেশ কয়েকজন আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গি। আর কারা এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত, এবিটি জঙ্গিদের সঙ্গে জামাত উল মুজাহিদিন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের কাদের, কতটা যোগ ছিল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। অন্যদিকে খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত জেএমবি জঙ্গি তারিকুল ইসলামকে ৭ দিনের হেফাজতে নিয়েছে বেঙ্গল এসটিএফ। জানা গিয়েছে, এই তারিকুলের সঙ্গে জেলেই আলাপ হয়েছিল এবিটি জঙ্গি আব্বাস আলির। জেলে তারিকুলের থেকেই সন্ত্রাসের পাঠ নেয় সে। এমনকি জেল থেকে ছাড়া পেয়েও দু'জনের মধ্যে বজায় ছিল যোগাযোগ। জেল থেকে বেরিয়েও তারিকুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিল আব্বাস আলি। তারিকুলের পরিকল্পনাতে বাংলায় সম্প্রসার করছিল আনসারুল্লা বাংলা টিম, এমনটাই অনুমান। আর এই তথ্য খতিয়ে দেখতেই তারিকুলকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছে বেঙ্গল এসটিএফ।
আরও পড়ুন- HMP ভাইরাস কি সত্যিই কোভিড ১৯- এর মতো আতঙ্ক-উদ্বেগের কারণ? কী বলছেন চিকিৎসক?