HMP Virus: HMP ভাইরাস কি সত্যিই কোভিড ১৯- এর মতো আতঙ্ক-উদ্বেগের কারণ? কী বলছেন চিকিৎসক?
HMP Virus Case: ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন চিকিৎসক সৌতিক পাণ্ডা। এইচএমপি ভাইরাস কি আদৌ আতঙ্কের কারণ? কী বললেন চিকিৎসক, দেখে নিন।
HMP Virus: করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। মাত্র ৫টা বছর পেরিয়েছে। তার মধ্যেই হদিশ মিলেছে আরেক ভাইরাসের। আর তার সঙ্গে নাম জুড়েছে সেই চিনের। নতুন ভাইরাসের নাম এইচএমপি বা হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস। বেঙ্গালুরু, আমদাবাদের পর কলকাতাতেও পাওয়া গিয়েছে এইচএমপি ভাইরাস আক্রান্তের খোঁজ। মোট চার শিশুর শরীরে মিলেছে এই ভাইরাসের হদিশ। এদের কারওর বয়সই এক বছরও হয়নি। অবশ্য স্বস্তির খবর একটাই যে কলকাতায় যে এইচএমপি আক্রান্ত শিশুর খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল, চিকিৎসার পর এখন সুস্থ রয়েছে ৬ মাসের ওই বাচ্চাটি।
কিন্তু ছোট্ট শিশুর সুস্থতার খবরও বাস্তবে স্বস্তি দিচ্ছে না সকলকে। কাটছে না আতঙ্ক। বরং বাড়ছে উদ্বেগ। আসলেই কি এই এইচএমপি ভাইরাস খুব বিপজ্জনক? আতঙ্ক- উদ্বেগের কারণ কি রয়েছে এই ভাইরাস নিয়ে? এই নিয়েই ছিল আজকের (০৬/০১/২০২৫) 'ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন' অনুষ্ঠানের একটা অংশের আলোচন। যোগ দিয়েছিলেন চিকিৎসক সৌতিক পাণ্ডা। কী বললেন তিনি, দেখে নিন।
সঞ্চালক (এবিপি আনন্দর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, সুমন দে) - ইতিমধ্যেই একাধিক সরকার নির্দেশিকা জারি করেছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের তরফে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ? কোভিডকালের পরিকাঠামো কি দ্রুততার সঙ্গে ফিরিয়ে আনা উচিৎ?
চিকিৎসক, সৌতিক পাণ্ডা - এখনই এত উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আতঙ্কের কারণ নেই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডাও জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন যে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হয়নি। আমিও এই চ্যানেলের মাধ্যমে সবাইকে আশ্বস্ত করতে পারি যে এখনও ভীত, সন্ত্রস্ত হওয়ার মতো কোনও পরিস্থিতি ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গে হয়নি। মূলত দুটো ব্যাপার আমাদের বুঝতে হবে। করোনা ভাইরাস একটি নভেল ভাইরাস ছিল। কোভিড-১৯ বা সারস্কোভ ২, যার নামকরণই হয়েছিল ২০১৯ সালে। তখনই আমরা এই ভাইরাস সম্পর্কে প্রথমে জানতে পারি। সম্পূর্ণ নতুন ভাইরাস ছিল। তবে এইচএমপি কোনও নতুন ভাইরাস নয়। ২০০১ সাল থেকেই জানি। বাচ্চাদের মূলত আক্রান্ত করেছে এই ভাইরাস। কিছু ক্ষেত্রে বয়স্করাও একটু বেশি মাত্রায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এখনই এত উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
সঞ্চলক - বেশ কিছু রাজ্য নির্দেশিকা জারি করেছে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি তুলেছেন কেন্দ্রকে বিভিন্ন রাজ্যের জন্য নির্দেশিকা জারি করতে হবে, এটা কি অতি সক্রিয়তা? নাকি এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে?
চিকিৎসক - ব্যক্তিগত স্তরে আমাদের প্রত্যেককেই সতর্ক থাকতে হবে। চোখের সামনে কাউকে যদি দেখি জ্বর, সর্দি, কাশি হয়েছে তাহলে মাস্ক পরি, দূরত্ব বজায় রাখি। এছাড়াও কোভিডের সময় যেসব সতর্কতা আমরা নিয়েছিলাম যেমন- হাত ধুয়ে পরিষ্কার রাখা, দূরত্ব বজায় রেখে চলা সেগুলো করতে হবে। নজরদারি রাখতে হবে। কিন্তু এখনই প্যানিক হওয়ার মতো কিছু হয়নি।
সঞ্চালক - কোভিডের দুঃস্বপ্নের স্মৃতি আমাদের রয়েছে, মাস্ক-স্যানিটাইজারের কথা এলেই তাই আতঙ্কিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট, তাহলে কি আবার টিস্যু পেপার-রুমাল-মাস্কের যুগ ফেরত আসছে?
চিকিৎসক - যাঁর হাঁচি-কাশি, সর্দি হয়েছে তাঁকে অনুরোধ করব পাবলিক ট্রান্সপোর্টে গেলে মাস্ক পরুন, অন্যের কথা ভেবে। আমাদের বুঝতে হবে এই এইচএমপি ভাইরাস এবং নভেল করোনা ভাইরাসের অনেক তফাৎ। একেবারে আলাদা। দুটো মিলিয়ে দিলে চলবে না। যাঁদের বয়স ৬০ বা ৬৫ বছরের বেশি, অন্যান্য অসুখ বা কোমর্বিডিটি যেমন- ব্রঙ্কিওল অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, সিওপিডি এগুলো রয়েছে, সেক্ষেত্রে সমস্যা বাড়তে পারে। তবে সেটাও যে ভয়ঙ্কর আকার নেবে, এমনটা বলার মতো পরিস্থিতি আসেনি এখনও।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )