Sukanta Majumdar: 'পশ্চিমবঙ্গকে জঙ্গিদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, এগিয়ে বাংলা মডেল সার্থক'
Kahsmiri Militant Arrested: ক্যানিংয়ে জামাইবাবুর বাড়ি এসেছিল জাভেদ। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের টিম। জানা গিয়েছে, এর আগেও কলকাতায় এসেছিল জাভেদ আহমেদ মুন্সি।
Sukanta Majumdar: মুর্শিদাবাদের পর ক্যানিং, রাজ্যে একের পর এক জঙ্গি গ্রেফতার। আর এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি। ভর্ৎসনা করে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'গোটা পশ্চিমবঙ্গকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দল জঙ্গিদের ব্রিডিং গ্রাউন্ড অর্থাৎ জঙ্গিদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছেন। জঙ্গিরা এখানে মহা আনন্দে থাকছে। আর তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে গলা মিলিয়ে জয় বাংলা জয় বাংলা করে লাফাচ্ছে। ভারত বিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপ চলেছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে এগিয়ে বাংলার ডাক দিয়েছেন, আজকে সার্থক হল। কাশ্মীরে জঙ্গি ধরা পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। দক্ষিণ ভারতের জঙ্গি ধরা পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। এই না হলে এগিয়ে বাংলা মডেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণাই এর পিছনে রয়েছে।'
নদীপথেই বাংলাদেশে পালানোর ছক কষেছিল ক্যানিং থেকে ধৃত কাশ্মীরি জঙ্গি জাভেদ আহমেদ মুন্সি
দিল্লি থেকে বিমানে ক্যানিং এসে পাকড়াও কাশ্মীরি জঙ্গি জাভেদ। বেঙ্গল এসটিএফ-এর সঙ্গে কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয় তাকে। এপার বাংলা থেকে ওপারে নদীপথে পালানোর ছক ছিল জাভেদের। বাংলাদেশে অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। নদীতে ক্যানিং থেকে সুন্দরবন হয়ে বাংলাদেশ যাওয়ার ছক কষেছিল সে। জলপথে সন্দেশখালি হয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল এই জঙ্গির। ধামাখালি ঘাট থেকে রায়মঙ্গল নদী ধরে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগরে গেলেই হাতের মুঠোয় বাংলাদেশ। বিএসএফ- এর নজরদারি এড়াতেই বিকল্প পথ হিসেবে নদীপথ বেছে নিয়েছিল জাভেদ। পরিকল্পনা ছিল সন্দেশখালি হয়ে খুলনা ঘাট যাওয়ার। তারপর সেখান থেকে ভাণ্ডারখালিতে গেলেই তিন দিকে নদী পথ। একটি ভাণ্ডারখালি, আরেকটি দুলদুলি, তৃতীয় জলপথ লেবুখালি। নদীপথেই বাংলাদেশে পালানোর ছক কষেছিল কাশ্মীরি জঙ্গি, সন্দেহ গোয়েন্দাদের।
ক্যানিংয়ে জামাইবাবুর বাড়ি এসেছিল জাভেদ। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের টিম। জানা গিয়েছে, এর আগেও কলকাতায় এসেছিল জাভেদ। এমনকি ঘুরে গিয়েছিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালও। জাভেদের থেকে ৫০ হাজার টাকা, দুটো মোবাইল ফোন, হাতে লেখা নোট উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। হাতে লেখা নোটে কী কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জাভেদকে তা ডিকোড করার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
ধৃত সন্দেহভাজন কাশ্মীরি জঙ্গির উদ্দেশ্য ছিল বাংলার মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশে ঢোকা। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ধৃত জঙ্গির পাক যোগও মিলেছে বলে খবর বেঙ্গল এসটিএফ সূত্রে। IED তৈরিতে সিদ্ধহস্ত, আগ্নেয়াস্ত্র চালাতে পারদর্শী শ্রীনগরের চানপুরার বাসিন্দা জাভেদ আহমেদ মুন্সি এর আগে একাধিকবার বাংলাদেশে গিয়েছে। সূত্রের খবর, লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে এবারও বাংলাদেশে যাওয়ার ছক ছিল ধৃত জাভেদ মুন্সির। সূত্রের দাবি, ক্যানিং থেকে নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার ছক কষেছিল জাভেদ। ক্যানিং ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে জল সীমান্ত। ট্রলারে চেপে মৎস্যজীবীদের ভিড়ে মিশেই কি ইন্দো-বাংলাদেশ বর্ডার দিয়ে সেদেশে ঢোকার ছক ছিল ধৃত জঙ্গির? ধৃত জাভেদ আহমেদ মুন্সির থেকে দুটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে কাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল তা জানতে কললিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।