Suvendu Adhikari : ‘ডিএ আপনাকে দিতে হবে, ২৩ হাজার কোটি টাকা একমাসে দিতে হবে’ আক্রমণ শুভেন্দুর
BJP : ভোটের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দুর আক্রমণ, ‘ইভিএম পাল্টে পুরসভার ভোট করে জিতেছে তৃণমূল’।
চুঁচুড়া : ডিসেম্বর-সাসপেন্সের পর এবার ডিএ হুমকি। রাজ্য সরকারকে সরকারি কর্মচারিদের ডিএ দিতেই হবে বলে মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের আর্থিক হাল নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে নাম না করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ফের নিশানা করলেন তিনি। সঙ্গে গোটা দেশ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিকাশের পথে এগিয়ে চলেছে বলে মন্তব্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।
দেনা-আক্রমণ
হুগলির চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে বিজেপির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘ডিএ আপনাকে দিতে হবে। ২৩ হাজার কোটি টাকা একমাসে দিতে হবে’। যার পরই রাজ্য প্রশাসনকে আক্রমণ শানিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আক্রমণ, 'পিসি-ভাইপোর কোম্পানির নামে তোলাবাজি চলছে। বাম আমলে ২ লক্ষ কোটি টাকা দেনা ছিল। মমতার আমলে ৬ লক্ষ কোটি টাকা দেনার পরিমাণ’। পাশাপাশি ভোটের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দুর আক্রমণ, ‘ইভিএম পাল্টে পুরসভার ভোট করে জিতেছে তৃণমূল’।
মোদির প্রশংসা
রাজ্যের সঙ্গে দেশের পার্থক্য কোথায় জানাতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মোদিজি আসার পর দেশে পরিবারবাদ শেষ হয়েছে। দুটো রাজ্যে এখনও তোষণ ও পরিবারবাদ চলছে। তেলঙ্গানা আর পশ্চিমবঙ্গে তোষণ আর পরিবারবাদ চলছে’।
ডিসেম্বর সাসপেন্স
ডিসেম্বর-সাসপেন্স তৈরি করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, '১২, ১৪, ২১ তিনটে দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ, ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ'। ১২ ডিসেম্বরের প্রাক্কালে অবশ্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, গোটা ডিসেম্বর মাসই গুরুত্বপূর্ণ। সুপ্রিম কোর্টে ওঠা ডিএ মামলার রায় রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের পক্ষে যাবে বলেই আশাপ্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর রাজ্য সরকার যেরকম দেনার দায়ে ডুবে রয়েছে, তাতে ডিএ দিতে গেলে এমনিতেই রাজ্য সরকারের আর্থিক কাঠামো ভেঙে পড়বে বলেও দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
পাশাপাশি একাধিক প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে রাজ্য-কেন্দ্রের চলতে থাকা বিরোধ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর বক্তব্য, 'মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী স্টিকার পলিটিক্স করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনাকে বলেন খাদ্যসাথী, তিনি প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছভারত অভিযান কর্মসূচি, তাকে বলেন নির্মল বাংলা, তিনি প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার নাম এখানে বদলে দিয়ে করেন বাংলা আবাস যোজনা। তিনি এখানে চালাচ্ছিলেন বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা, আমাদের আপত্তি সেখানে। নাম পরিবর্তন করা যাবে না বলেছিলাম।'
আরও পড়ুন- ‘যে ওসি বদমাইশি করছে, তাঁকে টাইট দিয়ে দেব’, শুভেন্দুর পর এবার পুলিশকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর