Suvendu Adhikari: ‘পারলে কাকুকে বাঁচান’, অভিষেককে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন শুভেন্দু
Abhishek Banerjee: অভিষেকের দফতরে কর্মরত ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। নিয়োগ দুর্নীতিতে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি।
কলকাতা: মধ্যরাতে গ্রেফতার হয়েছেন 'কালীঘাটের কাকু' (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। তার পর থেকে লাগাতার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নিশানা করে আসছেন তিনি। এ বার সরাসরি তৃণমূল (TMC) সাংসদ অভিষেককে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ক্ষমতা থাকলে অভিষেক সুজয়কৃষ্ণকে বাঁচিয়ে দেখান বলে মন্তব্য করলেন শুভেন্দু (SSC Case)।
সরাসরি অভিষেককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন শুভেন্দু
অভিষেকের দফতরে কর্মরত ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। নিয়োগ দুর্নীতিতে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। তার পর গতকাল মধ্যরাত থেকেই লাগাতার অভিষেককে নিশানা করে আসছেন শুভেন্দু। এ বার সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন। শুভেন্দুর বক্তব্য, "হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেল তদন্ত। তদন্তকরী সংস্থার উচিত, হৃদয় পর্যন্ত গিয়ে থেমে না থেকে মাথা পর্যন্ত পৌঁছনো।" এর পরই সরাসরি অভিষেককে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন শুভেন্দু। বলেন, "পারলে কাকুকে বাঁচান।"
এর আগে, গতকাল রাতেই ট্যুইটারে সরব হন শুভেন্দু। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, 'শেষ পর্যন্ত আইনের লম্বা হাত মাস্টারমাইন্ড পর্যন্ত পৌঁছল। কেউ রেহাই পাবে না, মাথারাও জেলে যাবে, সময় হয়ে গিয়েছে'। ওই ট্যুইটেই 'কালীঘাটের কাকুর সহযোগীদের চিনে নিন' বলে লেখেন শুভেন্দু। তাতে 'LEAPS & BOUNDS PRIVATE LIMITED' নামের একটি সংস্থার ডিরেক্টরদের তালিকা বলে একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন শুভেন্দু। সেই তালিকায় ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিশ্বনাথ ভট্টাচার্যের। তালিকায় ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে সুজয়কৃষ্ণেরও।
এ দিনও ফের ওই সংস্থার কথা উল্লেখ করেন শুভেন্দু। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর জবাবদিহি চান তিনি। শুভেন্দু বলেন, "যিনি গ্রেফতার হয়েছেন, তিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও। এই সংস্থায় তো মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রাও রয়েছেন। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সাফাই দিতে হবে।"
সুজয়কৃষ্ণ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন শুভেন্দু
সুজয়কৃষ্ণ গ্রেফতার হওয়ার পর, মঙ্গলবার রাতেও ট্যুইটে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য ছিল, 'আইনের লম্বা হাত শেষ পর্যন্ত মাথা এবং সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগীদের দিকে এগোচ্ছে। কেউ ছাড় পাবে না। সবচেয়ে বড় দাম্ভিক জেলে যাবে। আর বেশি দেরি নেই'।