Suvendu Adhikari : নতুন মুখ্য তথ্য কমিশনার পদে প্রাক্তন ডিজিপি, রাজ্যপালকে নিশানা শুভেন্দুর
Former DGP Virendra New CIC : রাজভবনে বীরেন্দ্রকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে রাজভবন। ফের রাজ্যপালকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা : রাজ্যের নতুন মুখ্য তথ্য কমিশনার পদে প্রাক্তন ডিজিপি ( Former DGP ) বীরেন্দ্রকে ( Birendra ) নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ( C V Ananda Bose )। আগামী ৩ বছরের জন্য রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার পদে বীরেন্দ্রকে নিয়োগ করে হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যপালকে ফের একবার নিশানা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বীরেন্দ্রর শপথবাক্য পাঠ
রাজভবনে বীরেন্দ্রকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে রাজভবন। ফের রাজ্যপালকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার পদে রাজ্যের প্রাক্তন ডিজিপি বীরেন্দ্রকে নিয়োগ ঘিরে সংঘাত হল তীব্র ।
রাজ্যপালকে নিশানা
রাজ্যপালকে নিশানা করে ট্যুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন, '২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন ডিজিপি পদ থেকে বীরেন্দ্রকে সরিয়ে দেয়। শাসক দলের দিকে ঝুঁকে থাকায় নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়। এমন একজন ব্যক্তিকে রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার পদে নিয়োগের বিরোধিতার করেছিলাম। রাজ্যপালের তাঁকেই রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার পদে নিয়োগ করা দুর্ভাগ্যজনক'
আরও পড়ুন :
‘চিনের হাসপাতাল ভর্তি এখনও, এখানে বিনা পয়সায় টিকা হয়েছে’, বীরভূমে বললেন শুভেন্দু
বিজেপির একাংশের মতানৈক্য
এর আগেও রাজভবনের সঙ্গে বিজেপির একাংশের মতানৈক্য প্রকাশ্যে আসে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ভূমিকায় অসন্তোষের সুর ধরা পড়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেনদু অধিকারীর গলায়। কিন্তু, রাজ্যপাল সম্পর্কে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের মত উল্টোটাই। ফলে প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে বঙ্গ বিজেপি কি দ্বিধাবিভক্ত?
অতীতে শুভেন্দুর রাজ্যপালকে নিশানা
কিছুদিন আগে শুভেন্দু মন্তব্য করেন, ' বর্তমান রাজ্যপালের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত গোপালকৃষ্ণ গাঁধী ও জগদীপ ধনকড়ের ভূমিকা ব্যক্তিগতভাবে দেখতে পাইনি। আগেও বলেছিলাম, এখনও অনড় আছি। আমি চাই সাংবিধানিক প্রধান, তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাজ্যের থেকে রিপোর্ট না চেয়ে, ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দিল্লিকে জানাক। '
কিন্তু, শুভেন্দু অধিকারীর ঠিক উল্টো সুর দিলীপ ঘোষের গলায়। তিনি বলেন, ' এখন এটা চলন হয়ে গেছে, যে রাজ্যপাল আসবে, তার বিরোধিতা করো। এ রাজ্যে এটা খুব হয়। দু পক্ষ ভাগ হয়ে যায়। আমি প্রথমেই বলেছি, রাজ্যপাল নিরপেক্ষ ভাবে সংবিধানের পক্ষে কাজ করবেন। নতুন এসেছেন। তাঁর মতো এফিসিয়েন্ট মানুষ খুব কম এসেছেন। সময় লাগবে'
রাজ্য়পালের ভূমিকা নিয়ে বিজেপি দ্বিধাবিভক্ত?