Tab Scam: ট্যাবের টাকা গায়েব করতেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ঘুণাক্ষরেও টের পাননি বাড়ির মালিক
Tab Scam: ট্যাবের টাকা উধাও করার মাস্টারমাইন্ড জুয়েলকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে।

সুদীপ চক্রবর্তী, নদিয়া : 'তরুণের স্বপ্ন'- চুরি করে বিদ্যালয়েরই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এখন শ্রীঘরে। ট্যাব কেলেঙ্কারির মাস্টারমাইন্ড হিসেবে চোপড়ার মাঝিয়ালি হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুফতাজুল ইসলাম ওরফে জুয়েলকে বেশ কয়েকমাস ধরেই খুঁজছিল ইসলামপুর সাইবার থানার পুলিশ। অবশেষে বুধবার চোপড়া থেকেই গ্রেফতার করা হয় জুয়েলকে। বৃহস্পতিবার তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে, বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। জুয়েলের এই কুকর্মের জন্য হতবাক তাঁর প্রতিবেশী থেকে শুরু করে তাঁর স্কুলের সকলেও।
গ্রেফতার হওয়া জুয়েলের বাড়ির মালিক মঞ্জুর হোসেন জানিয়েছেন, একসময় তাঁদের বাড়িতেই থাকতেন জুয়েল। কয়েক মাস ছিলেন তিনি। তবে ভাড়া বাকি ছিল। তারপর থেকে আর থাকতেন না। কিন্তু ওনার রুম লক করাই ছিল। ধৃত জুয়েলের প্রাক্তন বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, তাঁর জালিয়াতির কথা কিছুই টের পাওয়া যায়নি। দিনে স্কুলে যেতেন, আবার ফিরে আসতেন। কিছুই বোঝা যায়নি। সন্দেহজনক কেউ আসত বলেও চোখে পড়েনি। দিনের বেলা স্কুলে থাকতেন। সেভাবে কারও কিছুই চোখে পড়েনি। পড়ুয়াদের আসা-যাওয়াও নজরে আসেনি।
মহম্মদ ইসমাইল বর্তমানে চোপড়ার মাঝিয়ালি হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তিনিও জানিয়েছেন জুয়েলের গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা অস্বস্তিজনক। কিন্তু আমাদের হাতে কিছু নেই। আইন আইনের পথে চলবে। ওনার গ্রেফতারি দুঃখের কথা। আঘাত লাগে। কিন্তু কিছু বলার নেই। করারও নেই। পুলিশ আমাদের কিছু জানায়নি কেন গ্রেফতার করা হয়েছে জুয়েলকে। খবরে শুনেছি।
সরকারি প্রকল্পের নাম 'তরুণের স্বপ্ন'। সেই প্রকল্পে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়। সরকারি প্রকল্পের টাকা নিয়েই নয়ছয় হচ্ছিল অনেকদিন ধরে। জেলায় জেলায় গায়েব হয়ে যাচ্ছিল ট্যাব কেনার টাকা। ইতিমধ্যেই ট্যাব জালিয়াতি কাণ্ডে অনেকজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার জালে এল মাস্টারমাইন্ড। জানা গিয়েছে, এই মাস্টারমাইন্ড মাজিয়ালি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ধৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ মুফতাজুল ইসলাম ওরফে জুয়েল। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার কোর্টগাছ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। স্কুলের ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করে ট্যাবের টাকা গায়েব করা হচ্ছিল। এই জালিয়াতি কাণ্ডে মাস্টারমাইন্ড জুয়েলের নাম আগেই উঠে এসেছিল সিআইডি- এর তদন্তে, এমনটাই খবর সূত্রের। জানা গিয়েছে, ট্যাবের টাকা উধাওয়ের পর নেপালে পালিয়ে গিয়েছিল জুয়েল। দেশে ফিরতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইসলামপুর সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল এই ব্যক্তির নামে। অবশেষে ট্যাবের টাকা গায়েব করার পিছনে থাকা মূল চক্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ওষুধ তৈরির আরও এক সংস্থা 'ব্ল্যাকলিস্টেড', কড়া পদক্ষেপ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের






















