Tangra Case: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই ট্যাংরাকাণ্ডে গ্রেফতার প্রসূন দে, 'মৃত্যুর রাস্তা বেছে নিতে চাই..'!
Tangra Murder Case Prasun Dey Arrested : স্ত্রী-মেয়ে-বৌদিকে খুনের অভিযোগ, ৬ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে প্রসূন

কলকাতা: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই গ্রেফতার প্রসূন দে। ট্যাংরায় ৩ জনকে খুন কে ? আগেই লালবাজার সূত্রে মিলেছিল খবর, যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হলেই করা হতে পারে গ্রেফতার। গতকাল NRS থেকে ছাড়া হতেই, প্রসূণকে নিয়ে যাওয়া হয়, ট্যাংরা থানায়। গতকাল করা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদ। অবশেষে এবার গ্রেফতার প্রসূন দে। স্ত্রী-মেয়ে-বৌদিকে খুনের অভিযোগ, ৬ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে প্রসূন।আইনজীবী রাখতে চান না বলে শিয়ালদা কোর্টে জানালেন প্রসূন দে।
'উনি আইনজীবী রাখতে চাইছেন না, ওকালতনামায় সই করছেন না। বলছেন চার্জশিট হলে আইনের হাত ধরে মৃত্যুর রাস্তা বেছে নিতে চাই', শিয়ালদা কোর্টে জানালেন লিগ্যালএইডের আইনজীবী। 'বিনা পয়সায় সরকারি আইনজীবী, কোনও টাকা লাগবে না তাও রাখবেন না?', বিচারকের প্রশ্নের মুখে ফের ঘাড় নেড়ে 'না' বললেন প্রসূন দে। 'পুলিশ হেফাজতে চাইছে, জেল নয়, ওদের কাছে থাকতে হবে',কিছু বলার আছে কিনা প্রসূনের কাছে জানতে চান বিচারক । প্রসূন না বলার পরেই পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ শিয়ালদা কোর্টের ।
ট্যাংরায় ৩ জনকে খুন করেছিল কে? এবার প্রসূনের 'স্বীকারোক্তি'। পুলিশ সূত্রে খবর,'বৌদি ও স্ত্রীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে হাত-গলা কেটেছিল প্রসূনই', জিজ্ঞাসাবাদের এমনই স্বীকারোক্তি ছোট ভাইয়ের । তাহলে প্রণয়ের নাবালিকা কন্যাকে খুন করল কে? ট্যাংরাকাণ্ডের ৩জন খুনের ঘটনায় এখনও ধোঁয়াশা ! লালবাজার সূত্রের খবর,'পায়েসের মধ্যে বিষ মিশিয়েছিল বড় ভাই প্রণয়। বালিশ দিয়ে মুখ চেপে বৌদি-স্ত্রীর হাতের শিরা-গলা কাটে প্রসূন। বাঁচার জন্য চেষ্টা করেছিল স্ত্রী রোমি, তাই শরীরে আঘাতের চিহ্ন', পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে এমনই স্বীকার প্রসূনের।
বালিশ চাপা দিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করেন কাকা। মরার ভান করে বেঁচে যাই। রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কাছে চাঞ্চল্যকর দাবি করল ট্যাংরাকাণ্ডে জখম কিশোর। লালবাজার সূত্রে খবর, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ট্যাংরার চিত্ত নিবাসে বন্ধ দরজার ওপারে ঠিক কী হয়েছিল? পরিবারের তিন মহিলা সদস্যকে খুন করেছিল কে? প্রণয়, প্রসূন দুই ভাই মিলে? নাকি কোনও একজন? সেই রহস্য়ের কিনারা এখনও পুরোপুরি হয়নি।
আরও পড়ুন, 'শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় জখম ছাত্র..এই ছবিটি কমপ্লিটলি ফেক, মিথ্য়া, ফটোশপ করে তৈরি করা' !
এর মধ্য়েই রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কাছে এবার চাঞ্চল্যকর দাবি করল বড় ভাই প্রণয় দে-র নাবালক ছেলে। কিশোরের দাবি, ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খেয়ে তার কিছুই হয়নি। এরপর তাকে বালিশ চাপা দিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করেন কাকা প্রসূন দে। নিয়মিত যোগাভ্যাস ও জিম করার ফলে সে অনেক্ষণ নিঃশ্বাস বন্ধ করে থাকতে পারত। কিশোরের দাবি, সে মরে যাওয়ার ভান করে পড়ে ছিল। এরপর তাকে ফেলে রেখে বাবা ও কাকা ছাদে চলে যান। নাবালক আরও দাবি করেছে, দিনকয়েক আগে থেকেই পরিবারে এনিয়ে আলোচনা চলছিল। আলোচনার সময় তাকে ও তার বোন প্রিয়ম্বদাকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে কিশোর দাবি করেছে, পরিবারের ব্যবসা ডুবে গেছিল। আলোচনার দিন ঘরে থাকলে অন্য কোনও উপায়ে রোজগারের পরামর্শ দিতে পারত সে।






















