Taslima On Saif Ali Khan: সেফের উপর হামলাকারী বাংলাদেশের শরিফুল, 'অনুপ্রবেশকারী মানেই চোর, ডাকাত, খুনি বা সন্ত্রাসী নন' মন্তব্য তসলিমার
'আমেরিকাতেও মেক্সিকো থেকে ক্রমাগত অনুপ্রবেশ ঘটছে। তবে এর পিছনে সীমান্তপ্রহরায় থাকা রক্ষীদের দিকেও আঙুল তুলেছেন তসলিমা।'

কলকাতা : বলিউডের প্রথম সারির সেলেব্রিটি দম্পতির ঘরে ঢুকে হামলা! ঠিক কী ঘটেছিল ১৫ জানুয়ারি গভীর রাতে? আক্রান্ত অভিনেতা সেফ আলি খানের বয়ান রেকর্ড করেছে বান্দ্রা পুলিশ। এরই মধ্যে মুম্বই পুলিশ নগর দায়রা আদালতকে জানিয়েছে, একা শরিফুল নয়, তাকে কেউ পেছন থেকে সাহায্যও করে থাকতে পারে। এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ধারণা দৃঢ় হচ্ছে। গ্রেফতারের পরপরই শরিফুল সম্পর্কে মুম্বই পুলিশ জানিয়ে দেয়, এই শরিফুল বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী। সে কীভাবে কোনও বৈধ নথি ছাড়াই এদেশে দুষ্কর্ম করে চলেছে তারও বর্ণনা দেয় পুলিশ। আপাতত ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতেই থাকবে শরিফুল।
আর এই নিয়ে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করলেন সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন। কড়া ভাষায় বাংলাদেশের একদন মানুষের উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, 'শেষ পর্যন্ত সাইফ আলি খানের বাড়িতে কারা ঢুকেছিল এবং কারা তার ওপর হামলা করেছিল সেসব প্রশ্নের উত্তর দিল পুলিশ। এই উত্তরগুলো যদি আগে আসত, তাহলে মানুষ জল্পনা-কল্পনার পুলে ডুবে যেত না। ' তসলিমা মহারাষ্ট্র পুলিশের ভূয়সী প্রশংসাও করেন। আবারও তসলিমা বাংলাদেশকে স্মরণ করালেন ' বাংলাদেশের উচিত তার জনগণের মঙ্গল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রত্যেকের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার অ্যাক্সেস থাকা উচিত। লোকেদের চাকরি, শান্তি এবং সুখ থাকা উচিত যাতে তাদের অন্য দেশে উন্নত জীবনের সন্ধান করতে না হয়।'
তসলিমার মতো, এই অনুপ্রবেশের সমস্যা চিরকালীন। বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রিস্টান এবং নাস্তিকরাও রয়েছেন। প্রতিদিন কেউ না কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করছে। তারা সবাই চোর, ডাকাত, খুনি বা সন্ত্রাসী নয়। তিনি মনে করান, এটাই পৃথিবীর নিয়ম, কোনও গরিব দেশের পাশে যদি কোনও উন্নত দেশ অবস্থান করে, তাহলে সেখানে এসে নিজেদের জীবন , জীবিকা সুরক্ষিত করতে চায় গরিব দেশের মানুষ। আমেরিকাতেও মেক্সিকো থেকে ক্রমাগত অনুপ্রবেশ ঘটছে। তবে এর পিছনে সীমান্তপ্রহরায় থাকা রক্ষীদের দিকেও আঙুল তুলেছেন তসলিমা। তিনি লিখেছেন, 'আমি শুনেছি যে সীমান্তের উভয় দিকে, এজেন্টরা পারাপারের সুবিধার্থে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়। অপরাধ সর্বদাই ভুল, তা স্থানীয়দের দ্বারা সংঘটিত হোক বা বহিরাগতদের দ্বারা। '
তবে অনুপ্রবেশ প্রবণতা ও এদেশে এসে অপরাধমনস্কতা কমাতে বাংদেশকেই তাদের নাগরিকদের মঙ্গলচিন্তা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাহিত্যিক।
আরও পড়ুন :
'দিদির মন্ত্রীদের চালচলন দেখলে আর থাকতে ইচ্ছে করে না', বিস্ফোরক মন্তব্য় কল্যাণের
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
