Job Seekers Agitation: এবার পুলিশের নজর এড়িয়ে ঘুরপথে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে পৌঁছে গেলেন টেট উত্তীর্ণরা !
Primary Teachers Jobs: শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির কাছ পর্যন্ত যাতে পৌঁছাতে না পারে সেখানে একটি রাস্তা ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় পুলিশের তরফে

কলকাতা : সকালে বিধানসভা অভিযান, রাতে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ। কালিন্দি মোড়ে ব্রাত্য বসুর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে জমায়েত টেট উত্তীর্ণদের। এদিন সন্ধেয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। এনিয়ে আগে থেকে খবর ছিল পুলিশের কাছে। তাই শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির কাছ পর্যন্ত যাতে পৌঁছাতে না পারে সেখানে একটি রাস্তা ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। কিন্তু, পুলিশ যে রাস্তা ব্যারিকেড করে দিয়েছিল, সেই রাস্তা দিয়ে না গিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর একেবারে বাড়ির কাছে পৌঁছে যান চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশের কাছে খবর পৌঁছায়। তারা গিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে কালিন্দি মোড়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান।
এ প্রসঙ্গে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, "২০২২সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমাদের প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের নোটিফিকেশন এসেছিল। গত তিন বছরে আমাদের নিয়োগ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবিতে আজ বিধানসভা অভিযান করেছিলাম। তারপরে সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী যেটা বললেন, আগে বলতেন যে এক লক্ষ শূন্যপদ আছে। মাঝে বলতেন, ৫০ হাজার প্রাইমারি শূন্পদ আছে। ইতিমধ্যে ২,২১৫টি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক নেই, আপনারা দেখেছেন। আজ শিক্ষামন্ত্রী বললেন, ৫০ হাজারের দাবিটা অন্যায্য। তাই শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দেখা করার জন্য এসেছি। ২০২২ টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের স্বার্থে।"
প্রেক্ষাপট-
৫০ হাজার শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে এদিন পথে নামেন টেট উত্তীর্ণরা। ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণদের আচমকা বিধানসভা অভিযান ঘিরে রাজপথে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে বচসা এবং ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পুলিশকে কখনও কাকুতিমিনতি করতে দেখা যায় তাঁদের, কখনও কান্নায় ভেঙে পড়েন। ধর্মতলা মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে আচমকা বিধানসভা ভবনের দিকে দৌড় দেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের তাড়া করে পুলিশ। সেই সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় পুলিশের।
এনিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, "এটার কোনও মানে নেই। যেখানে পর্ষদ সভাপতি কিছুদিন আগে বলেছেন, খুব শীঘ্র যেখানে ভ্যাকেন্সি লিস্ট পর্ষদ ঘোষণা করতে যাচ্ছে...। আর এক-দু'দিনের মধ্যেই হয়ত এটা বেরোবে। এর পিছনে কী উদ্দেশ্য আছে আমি জানি না। পর্ষদ সভাপতি নিজে কয়েকদিন আগে এটা নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু, ভ্যাকেন্সি কত আছে তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। খুব পরিষ্কার। ডিপিএসসি থেকে রিপোর্ট আসার জন্য অপেক্ষা করছি। ডিপিএসসি যেখানে এখনও রিপোর্ট দেয়নি, সেখানে ৫০-৫১ হাজার বলে খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে এটার কোনও মানে নেই। আমি আবার পরীক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করব আমাদের জেলা স্তরে ভ্যাকেন্সি নির্ণয়ের কাজ প্রায় শেষ। খুব শীঘ্র এটা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। এই ধরনের ২০২২-এর প্রাথমিকে যাঁরা আন্দোলন করছেন, এই আন্দোলনের এখন আর কোনও যৌক্তিকতা আছে বলে আমার অন্তত মনে হচ্ছে না।"






















