TET: বিধায়কদের লেটারহেডে চাকরির ‘সুপারিশ’, টেট-দুর্নীতির মামলায় তুঙ্গে তরজা
মামলাকারীদের দাবি অনুযায়ী, এই তিন তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন অখিল গিরি, অসীম মাঝি এবং শুভ্রাংশু রায়। সুপারিশপত্রের প্রতিলিপির সঙ্গে নামের তালিকাও জমা দেওয়া হয়।
কলকাতা: ‘তৃণমূল বিধায়করা নিজেদের লেটার হেডে নাম লিখে সুপারিশ করেছেন।’ এবার তৃণমূলের (TMC) তিন বিধায়কের নাম জড়ালো নিয়োগ দুর্নীতিতে (TET)। আদালতে মামলাকারীরা এমন দাবি জানিয়ে বলেছেন, 'প্রাথমিকে চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুপারিশ করেছেন'। তিন তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি (Akhil Giri), অসীম মাঝি (Asim Maji), শুভ্রাংশু রায়ের (Subhrangshu Roy) লেটার হেডে লেখা চিঠির প্রতিলিপি প্রধান বিচারপতির কাছে পেশ করা হয়েছে। সুপারিশ পত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে নামের তালিকাও। ২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিজেপি নেতা তাপস ঘোষের দায়ের করা মামলার শুনানি শেষ। তবে আপাতত স্থগিত থাকছে রায়দান।
২০১৪ সালের টেট-দুর্নীতির (TET Corruption) মামলায়, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তিনি বর্তমানে তৃণমূলের বিধায়ক।
এবার এই নিয়োগ-দুর্নীতি সংক্রান্ত আরেকটি মামলায়, নাম জড়াল আরও তিন তৃণমূল বিধায়কের। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাকারীরা অভিযোগ করলেন, ৩ তৃণমূল বিধায়ক লেটার হেডে নাম লিখে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুপারিশ করেছেন।
২০১৪ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে মামলা করেন বিজেপি নেতা তাপস ঘোষ। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে মামলাকারী আইনজীবী সওয়াল করেন, তৃণমূল বিধায়করা নিজেদের লেটার হেডে নাম লিখে প্রাথমিকে চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুপারিশ করেছেন। তিনজন তৃণমূল বিধায়কের লেটার হেডে লেখা চিঠির প্রতিলিপিও আদালতের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
মামলাকারীদের দাবি অনুযায়ী, এই তিন তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন অখিল গিরি, অসীম মাঝি এবং শুভ্রাংশু রায়। সুপারিশপত্রের প্রতিলিপির সঙ্গে নামের তালিকাও জমা দেওয়া হয়। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলা ৩ তৃণমূল বিধায়কের ‘লেটার হেডে চাকরির সুপারিশ’ তৃণমূলকে একযোগে নিশানা বিরোধীদের, পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, আমি তো আগেই বলেছি। তৃণমূলের একশোজনের বেশি ছেলে-মেয়েরা চাকরি পেয়েছে
সিপিএমের (CPM) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়, 'সব নেতাদের এসব কারবার। মুখ্যমন্ত্রী সব জানেন। তিনজন বিধায়কের লেটার হেডে চিঠি। তৃণমূলের এমএলএ, এমপিরা লুটছেন। মুখ্যমন্ত্রী কি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থান নেবেন? মুখ্যমন্ত্রী জেনে বুজে প্রশ্রয় দিচ্ছেন'।
এর আগে ২০১৪ সালের টেট-দুর্নীতি নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। তাঁর কথায়, আমার বউ আর আমার বউদি চাকরি পেয়েছে ঠিকই এ ছাড়া ৬২ জনকে চাকরি দিয়েছে, তারা সবাই দলের কর্মী। এবার সেই জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্ট অবধি।