TET OMR Sheet: কারও বাড়িতে ওএমআর শিট পাওয়া গেলে পর্ষদের কোনও ভূমিকা থাকে? প্রশ্ন পর্ষদ সভাপতির
TET Scam: 'পরীক্ষার্থীর কপি আমরা পরীক্ষার্থীদের দিয়ে দিয়েছি। হাইকোর্ট নিশ্চয় জানতে চাইতে পারে, আমরা জানাবও। কিন্তু এখানে কি পর্ষদের কোনও ভূমিকা থাকে?' প্রশ্ন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত যুব তৃণমূল নেতার বাড়িতে রাশি রাশি ওএমআর শিট! মাত্র দেড় মাস আগে হওয়ায় টেটের ওএমআর শিটও ধৃত কুন্তলের বাড়িতে! যুব তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার ২০২২-র ৩০টি ওএমআর শিট! হুগলির যুব তৃণমূল নেতার বাড়িতে কেন টেটের উত্তরপত্র? এই প্রশ্ন নিয়েই এবার সরব হাইকোর্ট থেকে পর্ষদ। এদিন এই প্রেক্ষিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এরপর সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।
তিনি বলেন, 'পরীক্ষার্থীর কপি আমরা পরীক্ষার্থীদের দিয়ে দিয়েছি। হাইকোর্ট নিশ্চয় জানতে চাইতে পারে, আমরা জানাবও। কিন্তু এখানে কি পর্ষদের কোনও ভূমিকা থাকে? আমার উদ্দেশ্য হল ২০২২ এর টেট পরীক্ষার্থীদের কাছে এই বার্তা দেওয়া যে পরীক্ষা যা হয়েছে তার মধ্যে স্বচ্ছতা রয়েছে। সেই গুরুত্ব অনুধাবন করেই এই সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছি। সরকার, শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অত্যন্ত স্বচ্ছ্বতার সঙ্গে টেট ২০২২ এর ফল প্রকাশ করবে। ২০১৪, ২০১৭ এর টেট পরীক্ষার রেজাল্টও স্বচ্ছ্বতার সঙ্গে প্রকাশিত হবে।'
আরও পড়ুন, টেট পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট কীভাবে কুন্তল ঘোষের বাড়িতে? বিস্ময়প্রকাশ বিচারপতির
এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে আদালতে বলা হয়, 'আমরা বিস্মিত। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এত চেষ্টা করার পরেও এই ধরনের জঘন্য ঘটনা ঘটেছে। কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে ১৮৯টি OMR শিট এবং অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গেছে। আমরা OMR শিটের কপি পরীক্ষার্থীদের দিয়েছি। কারণ, যখন ফলাফল বের হবে, তখন যেন প্রার্থীরা উত্তর যাচাই করতে পারেন। কোনও প্রার্থী যদি এগুলো জেরক্স করে কাউকে দেন, আমরা কি করতে পারি? আমাদের তরফ থেকে কোনও খামতি নেই। আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।'
যদিও ইডি সূত্রে খবর, ইডির জেরার মুখে আরটিআই করে ওএমআর শিট পাওয়ার দাবি কুন্তলের । কিন্তু কীসের জন্য আরটিআই? সদুত্তর মেলেনি কুন্তলের জবাবে।
মাত্র দেড় মাস আগে যে টেট হয়েছে, তারও OMR শিট।
আর তাই জোরাল প্রশ্ন উঠছে, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ো এত তোলপাড়, এত তদন্ত, এত গ্রেফতার, এত প্রতিবাদ, এত সমালোচনার পরও কি অর্থের বিনিময়ে চাকরি বিক্রির চক্র রমরমিয়ে চলছে? এখনও চক্র নির্ভয়ে কাজ করছে? এত ভরসা তারা পাচ্ছে কোথা থেকে ?