TET Agitation : আন্দোলনের বিরোধিতায় এবার আদালতে পর্ষদ, দ্রুত শুনানির কী আছে ? প্রশ্ন বিচারপতির
TET 2014 : প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, এই আন্দোলনের জেরে ব্যাহত হচ্ছে কাজ। করুণাময়ী থেকে সেক্টর ফাইভ যাতায়াতের মূল রাস্তাতে চলছে আন্দোলন।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : সোমবারের পর মঙ্গলবার, পরপর দু’রাত সল্টলেকের করুণাময়ীতে খোলা আকাশের নিচে রাস্তায় কাটালেন বিক্ষোভরত ২০১৪’র প্রাথমিকের TET উত্তীর্ণ নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। । সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ( West Bengal Board of Primary Education )অফিসের সামনে কয়েকশো চাকরিপ্রার্থীর আমরণ অনশন ( Hunger Strike ) শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের অনশন আন্দোলনের বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
পর্ষদের মামলা
আবেদনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, এই আন্দোলনের জেরে ব্যাহত হচ্ছে কাজ। করুণাময়ী থেকে সেক্টর ফাইভ যাতায়াতের মূল রাস্তাতে চলছে আন্দোলন। পর্ষদের অভিযোগ, যেভাবে আন্দোলনকারীরা পথ জুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে , তাতে কোনও কর্মী দফতরে ঢুকতে পারছেন না। আবেদনে কর্মীদের নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছে পর্ষদ। সেইসঙ্গে পর্ষদ আজই শুনানির আর্জি জানায়।
এত দ্রুত শুনানির কী আছে ? প্রশ্ন কোর্টের
তবে হাইকোর্ট তার জবাবে বলে, এত দ্রুত শুনানির কী আছে ? এতদিন আন্দোলন চলছে, আর একদিন চললে এমন কী অসুবিধা হবে ? পর্ষদের আইনজীবীর উদ্দেশে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীর আমরণ অনশন
পর্ষদের অফিসের সামনে কয়েকশো চাকরিপ্রার্থীর আমরণ অনশন শুরু হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে। ইতিমধ্যেই চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তায় কেটেছে দুই রাত। বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন, দুর্নীতির কারণে ৮ বছর নিয়োগ পিছিয়ে যাওয়ায়, অনেকের বয়স চল্লিশ পেরিয়েছে। তাই তাঁরা আর ইন্টারভিউতে আবেদন করতে পারবেন না। এবার তাঁরা কী করবেন? আন্দোলনকারীদের দাবি, ইন্টারভিউ ছাড়া তাঁদের সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দাবি, আন্দোলনকারীদের দাবি অনায্য। এই অবস্থায় পর্ষদ রাজ্য সরকারের কোর্টে বল ঠেলেছে। আবার রাজ্য সরকার বল ঠেলছে আদালতের দিকে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন , 'পরপর দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েও, প্যানেলভূক্ত হননি ২০১৪- এর এই চাকরিপ্রার্থীরা। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়েও কিছু করার নেই আমাদের। বয়সের ঊর্ধ্বসীমার সিদ্ধান্ত সরকারের। এর পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে '।
আরও পড়ুন :