TET Agitation : 'হয় আমাদের চাকরি দেবে নইলে লাশ নিয়ে যাবে', ৪৪ ঘণ্টা পেরল টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন
২০১৪’র প্রাথমিকের TET উত্তীর্ণ নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। ঝাঁঝ আরও বাড়ল করুণাময়ীর আন্দোলনের।
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : পেটে খিদে! মুখে চাকরির দাবি। আর এই দাবিতেই মুখের খাবার-পানীয় ফেলে নামলেন রাস্তায়। করুণাময়ীতে আমরণ অনশন আন্দোলন চালাচ্ছে ২০১৪’র প্রাথমিকের TET উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার থেকে চলছে অনশন ( TET Hunger Strike ) । জল খাবার ছুঁচ্ছেন না বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা বলছেন, নিয়োগ না দিলে তাঁদের লাশ নিয়ে যেতে হবে ।
ওএমআর শিট সামনে আনা হোক
বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের ওএমআর শিটগুলি ( OMR Sheet ) প্রকাশ্যে আনা হোক। এই অবস্থায় পর্ষদ রাজ্য সরকারের কোর্টে বল ঠেলেছে। আবার রাজ্য সরকার বল ঠেলছে আদালতের দিকে। তাই তাঁদের দাবি, তাঁরা যে অযোগ্য তা শিট প্রকাশ করে প্রমাণ করা হোক। ২০১৪’র প্রাথমিকের TET উত্তীর্ণ নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। ঝাঁঝ আরও বাড়ল করুণাময়ীর আন্দোলনের।
সোমবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ, মঙ্গলবার ৩২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। স্লোগানে-বিক্ষোভে ছয়লাপ হয়েছে গোটা এলাকা । মঙ্গলবার সকালে, আরও কয়েকজন চাকরি প্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবুও এক চাকরিপ্রার্থী বললেন, ' যতক্ষণ না আমাদের চাকরি, আমরা নিয়োগ পাচ্ছি, আমাদের হকের চাকরি, ৮ বছর আগে যে চাকরি চুরি গেছে, সেই চাকরি যতক্ষন না ফেরত পাচ্ছি, আমাদের সংগ্রাম চলছে চলবে।'
পর্ষদ কী বলছে ?
বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন, দুর্নীতির কারণে ৮ বছর নিয়োগ পিছিয়ে যাওয়ায়, অনেকের বয়স চল্লিশ পেরিয়েছে। তাই তাঁরা আর ইন্টারভিউতে আবেদন করতে পারবেন না। এবার তাঁরা কী করবেন? আন্দোলনকারীদের দাবি, ইন্টারভিউ ছাড়া তাঁদের সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দাবি, আন্দোলনকারীদের দাবি অনায্য। এই অবস্থায় পর্ষদ রাজ্য সরকারের কোর্টে বল ঠেলেছে। আবার রাজ্য সরকার বল ঠেলছে আদালতের দিকে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন , 'পরপর দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েও, প্যানেলভূক্ত হননি ২০১৪- এর এই চাকরিপ্রার্থীরা। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়েও কিছু করার নেই আমাদের। বয়সের ঊর্ধ্বসীমার সিদ্ধান্ত সরকারের। এর পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে'
অন্যদিকে সোমবার থেকে লাগাতার আন্দোলনের জেরে অবরুদ্ধ করুণাময়ী থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত রাস্তা। এখন এই আন্দোলনের তেজ প্রশমিত করতে প্রশাসন কোনও উদ্যোগ নেয় কিনা অপেক্ষা তারই।