![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Teacher Recruitment Scam: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কেড়ে নেওয়া চাকরি ফিরিয়ে দিল হাইকোর্ট
Teachers Job: চাকরি ফিরিয়ে দিল হাইকোর্ট। ৬ মাস পরে পুনর্বহালের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
![Teacher Recruitment Scam: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কেড়ে নেওয়া চাকরি ফিরিয়ে দিল হাইকোর্ট The High Court returned the jobs taken away from the Primary Education Board Teacher Recruitment Scam: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কেড়ে নেওয়া চাকরি ফিরিয়ে দিল হাইকোর্ট](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/03/01/7f9260a951e1974132ed38eb6d983770_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কেড়ে নেওয়া চাকরি ফিরিয়ে দিল হাইকোর্ট (High Court)। ৬ মাস পরে পুনর্বহালের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
হাইকোর্টের বার্তা
কী জানান হয়েছে হাইকোর্টের তরফে? বলা হয়েছে- ‘মানিক ভট্টাচার্যকে টাকা দেয়নি, তাই হয়তো মামলাকারীর চাকরি বাতিল। বাংলা এমন একটা রাজ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে টাকা না দিলে চাকরি হয় না’। ৪ মাস পরে কীভাবে চাকরি বাতিল। তা নিয়েও নিয়োগ মামলায় প্রশ্ন হাইকোর্টের। ‘নিয়ম না থাকলে নিয়োগপত্র গ্রাহ্য হল কীভাবে?’ এদিন এই প্রশ্নও করা হয় হাইকোর্টের তরফে।
কী অভিযোগ মিরাজ শেখের?
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বর, ২০২১-এ মুর্শিদাবাদে প্রাথমিকে চাকরি পান মিরাজ শেখ। সার্ভিস বুক তৈরির সময় চাকরি বাতিল করে দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বলা হয় এই চাকরি করার জন্য যে যোগ্যতামানের প্রয়োজন তা তাঁর নেই। চাকরি পাওয়ার ৪ মাস পরে কর্মহীন হয়ে পড়েন মিরাজ শেখ। এরপরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল। মিরাজের আইনজীবীদের তরফে বলা হয় যে হয়তো মানিক ভট্টাচার্যকে টাকা না দেওয়ায় তাঁর চাকরি বাতিল হয়।
মিরাজ শেখ প্রশ্ন তুলেছিলেন, যে নম্বর চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ধার্য করা হয়েছিল, যে নিয়ম রয়েছে। সেই নম্বর তাঁর রয়েছে। কিন্তু তাও কেন চাকরি কেড়ে নেওয়া হল? এই প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। যদিও তাঁর অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে কোনও সদুত্তর দেওয়া হয়নি। বরং চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন।
আরও পড়ুন, জিআই স্বীকৃতি পেল পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী ছৌ মুখোশ! রসগোল্লা-ল্যাংচা-সীতাভোগের পর নয়া রেকর্ড
বিরোধীদের মন্তব্য
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "আপনারা এর আগেও দেখেছেন যে তালিকায় গণ্ডগোল হয়েছিল। সেই চাকরি হাইকোর্ট ফিরিয়ে দিয়েছিল। তৃণমূল আসার পর যত প্যানেল হয়েছে সব জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে। সব ক্যানসেল হবে। যোগ্য প্রার্থীরাই চাকরি পাবেন।"
এদিন বিচারপতির মন্তব্যের বিষয়ে সিপিএম সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "এটা তো স্বীকৃত সত্য। একাধিক নিয়মে মামলা চলছে। সব জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে। বিচারপতিরা আজ ক্ষুদ্ধ হয়ে একথা বলছেন। এখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের জ্ঞাতার্থেই এই সকল কাজ চলছে। প্রশাসন কেন পদক্ষেপ নেবে? তাই হাইকোর্টের এই রায়। "
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)