Howrah: রবিবার থেকে চলবে লোকাল ট্রেন, তার আগে বামুনগাছিতে চলল স্যানিটাইজেশনের কাজ
হাওড়ার বামুনগাছি ইএমইউ রেল ইয়ার্ডে দেখা গেল রেলকর্মীদের চূড়ান্ত ব্যস্ততা। হাওড়া ডিভিশনের সমস্ত লোকাল ট্রেনে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু হয়েছে। যাত্রীদের বসার আসন স্যানিটাইজ হয়।
সুনীত হালদার, হাওড়া: করোনাকালে একাধিক বিধিনিষেধের মধ্যে অন্যতম ছিল লোকাল ট্রেনে নিষেধাজ্ঞা। তবে প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকার পর রবিবার থেকে লোকাল ট্রেন চলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে রাজ্যে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন। ফলে সব স্টেশনে জোর কদমে চলছে স্যানিটাইজেশনের কাজ।
একই ছবি জেলার একাধিক স্টেশনেও। হাওড়ার বামুনগাছি ইএমইউ রেল ইয়ার্ডে দেখা গেল রেলকর্মীদের চূড়ান্ত ব্যস্ততা। হাওড়া ডিভিশনের সমস্ত লোকাল ট্রেনকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। যাত্রীদের বসার আসনের পাশাপাশি লোকাল ট্রেনের কামরার সমস্ত হাতল স্যানিটাইজ করা হয়। কোভিড বিধিনিষেধ মেনে যাত্রীরা যাতে নিরাপদ দূরত্বে বসেন সেই কারণে মাঝের সিটে ক্রস চিহ্ন যুক্ত স্টিকার লাগানো হয়। যাত্রীদের জন্য অনুরোধ, তাঁরা যেন ওই 'কাটা' আসনে না বসেন। পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনে ৪৮৮টি লোকাল ট্রেনের ট্রিপ হয়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলে সেই সংখ্যা ১৯১টি। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রত্যেকটি লোকাল ট্রেনকে দিনে দু'বার স্যানিটাইজ করা হবে। এর পাশাপাশি যাত্রীরা যাতে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনে যাতায়াত করেন, সেই ব্যাপারেও নজরদারি করা হবে। একইসঙ্গে করোনা সচেতনতার উদ্দেশ্যে প্রচারও চালানো হবে।
অবশেষে রবিবার থেকেই রাজ্যে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন। প্রায় ৬ মাস পর লোকাল ট্রেন চালানোয়, গ্রিন সিগনাল দিয়েছে নবান্ন (Nabanna)। শুক্রবার নবান্নর তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের কোভিড বিধি-নিষেধ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে। তারপর সেসব ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এই নির্দেশিকাতেই বলা হয়েছে, মোট আসনের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেক যাত্রী নিয়ে রাজ্যের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু করা যেতে পারে।
রাজ্য সরকারের অনুরোধেই এরাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ ছিল। এবার রাজ্য গ্রিন সিগনাল দিয়ে দেওয়ায়, রবিবার থেকেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়ে যাচ্ছে। স্টেশনে স্টেশনে শুরু হয়ে গেছে প্রস্তুতি। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় ৫ মে লোকাল ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে দু’সপ্তাহের জন্য লোকাল ট্রেন বন্ধ করা হয়।
পরে দফায় দফায় ট্রেন চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়। পুজোর সময়ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধই ছিল। চলেছে কিছু স্পেশাল ট্রেন। কর্মস্থল খুলে গেলেও, পুরোদমে লোকাল ট্রেন চালু না হওয়ায়, এতদিন গন্তব্যে পৌঁছতে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বহু মানুষকে। অবশেষে নবান্ন লোকাল ট্রেন চলাচলে সবুজ সঙ্কেত দেওয়ায় খুশি যাত্রীরা।
লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে ঠিকই। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে এরাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা যে হাজার ছুঁইছুঁই, সেটাও ভুললে চলবে না। তাই যাত্রীদের সমস্ত রকম সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।