Private University Amendment Bill: রাজ্যপাল নন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটর এ বার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী, বিল পাস বিধানসভায়
WB Assembly: বিল পেশ করে জবাবি ভাষণে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "এই রাজ্যপালের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনও হস্তক্ষেপ আমরা চাই না।"
দীপক ঘোষ, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: রাজ্যপালের (Jagdeep Dhankhar) জায়গায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে (Private University) উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীকে ভিজিটর পদে বসাতে বিল পাস হল বিধানসভায় (WB Assembly)। রাজ্য সরকার বিল পেশ করার পরই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, এভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতিকরণের চেষ্টা হচ্ছে। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।
বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপি-র
রাজ্য সরকার পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে, রাজ্যপালের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর জন্য সোমবার বিল পাস হয়েছে বিধানসভায়। আর মঙ্গলবার, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপালের জায়গায় উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীকে ভিজিটর পদে বসাতে বিধানসভায় বিল পাস হল।
মঙ্গলবার বিধানসভায় The West Bengal Private University Laws Amendment Bill 2022 পেশ করেন ব্রাত্য বসু। এই বিলে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর হবেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য বা নথি চাইতে পারবেন তিনি।
আরও পড়ুন: South Dinajpur News: ক্রেতা সেজে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ
বিল পেশ করে জবাবি ভাষণে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "এই রাজ্যপালের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনও হস্তক্ষেপ আমরা চাই না। রাজ্যপাল থাকলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে অনেকেই এগিয়ে আসবেন না। কারণ শিল্পপতিরাও জানেন যে তিনি সরকার বিরোধী আর শিল্প বিরোধী। সব জেনে কেনও আসবেন শিল্পপতিরা?"
কিন্তু রাজ্য সরকার ভিজিটর বিল পেশ করার পরই ওয়াকআউট করে বিজেপি। দলের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ বলেন, "শিক্ষাক্ষেত্রকে রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা।" যদিও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, "ওরা আলোচনার বিরোধী, তাই ওয়াকআউট করেছে।"
শুভেন্দুকে কড়া জবাব তৃণমূলের
আচার্য পদে রাজ্যপালের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর জন্য, সোমবার বিল পাসের পর, এ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেছিলেন, "বিল দিল্লিতে যাবে, বাংলা নামের মতো অবস্থা হবে। উনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাবেন, তখনও ওঁর আচার্য হওয়া হবে না।" তাঁর সেই হাতিয়ার করে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। দলের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস আনা উচিত।আমাদের সরকার কী? বাংলার অপমান করছেন।" বিধানসভায় বিল পাস হওয়ার পর, এবার তা পাঠানো হবে রাজ্যপালের কাছে। তিনি স্বাক্ষর করলে তবেই তা আইনে পরিণত হবে।