চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা, বাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী
চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন উপলক্ষে রাজ্যে আসছে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইতিমধ্যেই চলে এসেছে ২৭ কোম্পানির বাহিনী
রুমা পাল, আশাবুল হোসেন, কলকাতা: চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দিনহাটায় থাকবে সবথেকে বেশি বাহিনী। চার কেন্দ্রের প্রার্থীর জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার দাবি তুলল বিজেপি। ওদের কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে বাধা দিচ্ছে মানুষ। পাল্টা মন্তব্য করেছে তৃণমূল।
চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন উপলক্ষে রাজ্যে আসছে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইতিমধ্যেই চলে এসেছে ২৭ কোম্পানির বাহিনী। ২৩ অক্টোবরের মধ্যে আরও ৫৩ কোম্পানির বাহিনী আসবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।
অর্থাৎ মোট ৮০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে চার কেন্দ্রে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ৩০ অক্টোবর ভোটের দিন কোচবিহারের দিনহাটার ৪১৭টি বুথের দায়িত্বে থাকবে ২৪ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী। নদিয়ার শান্তিপুরের ৩৫৯টি বুথে ১৯ কোম্পানি। উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দার ৩৩৫টি বুথে ১৭ কোম্পানি। এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গোসাবার ৩৩০টি বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ২০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী।
একটি ভোটকেন্দ্রে যদি একটি বুথ থাকে, সেখানে থাকবেন ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ২ থেকে ৪টি বুথ থাকলে, ৮ জন। ৫ থেকে ৮টি বুথ থাকলে ১৬ জন এবং ৯ বা তার বেশি বুথ থাকলে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ২৪ জন জওয়ান। উপনির্বাচনের আগে প্রচারকে কেন্দ্র করে, পরপর দু’দিন উত্তেজনা ছড়িয়েছে দিনহাটায়।
সোমবার বামনহাটে বিজেপি প্রার্থী ও নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠায়, জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট আসে। ভিডিও ফুটেজ-সহ তা দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এই প্রেক্ষাপটে এদিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে একাধিক দাবি জানায় বিজেপির প্রতিনিধি দল।
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য শিশির বাজোরিয়ার কথায়, ৪ জন প্রার্থীকে ব্যক্তিগত সেন্ট্রাল ফোর্সের নিরাপত্তা দিতে হবে। কারণ পুলিশ হচ্ছে তৃণমূলের।
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের কথায়, ৮০ কোম্পানি বলছে, আমরা চাইছি ১২০ কোম্পানি। কিউআরটি টিম বাড়াতে বলা হয়েছে। ভবানীপুরে ফলস ভোটার। পুলিশ বলেছিল ভোট দিতে যাবেন না, চাকরি যাবে। কোভিড কারণে ভোটের দিন যাতে কোনও দলের এজেন্ট বুথের মধ্যে।
বিজেপির এই সমস্ত অভিযোগকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মানুষ ওদের বাধা দিচ্ছে। মানুষ ক্ষুব্ধ। ওদের কাজকর্মে মানুষ ক্ষুব্ধ, তা প্রকাশ পাচ্ছে। বিজেপির যে কার্যকলাপ তা নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ।
৩০ সেপ্টেম্বর বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটের ওপর নির্বিঘ্নেই মিটেছিল ভবানীপুর-সহ তিন কেন্দ্রের উপ নির্বাচন। ৩০ অক্টোবর কীভাবে হবে ভোট? সেদিকেই তাকিয়ে চার কেন্দ্রের ভোটাররা।