TMC On Malviya:'বাংলা বলে কোনও ভাষা নেই, বিস্ময়কর অজুহাত বিজেপির, এটি ভাষাবিদ্বেষ ছাড়া আর কিছু নয়', পোস্ট তৃণমূলের
TMC Attacks BJP on Bengali Harassment : অমিত মালব্যকে পাল্টা আক্রমণ তৃণমূলের

কলকাতা: 'বাংলা বলে কোনও ভাষা নেই', বিস্ময়কর অজুহাত বিজেপির, পোস্ট তৃণমূল কংগ্রেসের। 'সংবিধানস্বীকৃত ভাষার অস্তিত্ব নেই, এটি ভাষাবিদ্বেষ ছাড়া আর কিছু নয়', অমিত মালব্যকে পাল্টা আক্রমণ তৃণমূলের। 'বিজেপি পরিকল্পিতভাবে রাজ্যজুড়ে বাঙালিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে', আক্রমণ তৃণমূল কংগ্রেসের। এই ধরণের ভয়ঙ্কর ব্যাখ্যা বন্ধ হওয়া উচিত, পোস্ট তৃণমূল কংগ্রেসের।
ব-এ বাংলা, ব-এ বিদ্বেষ, ব-এ বিজেপি । এই ৩ টে শব্দই এখন বঙ্গ রাজনীতিতে বহুল চর্চিত। আর এই চর্চাই এবার পৌঁছে গেছে সংঘাতের পর্যায়ে। আর সংঘাত চরমে উঠেছে দিল্লির বঙ্গভবনে পাঠানো লোধি কলোনি থানার তরফে এই চিঠি আসার পর , যেখানে বাংলা ভাষাকে উল্লেখ করা হয়েছে 'বাংলাদেশি ভাষা' হিসাবে। রবিবার যে চিঠি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লাগাতার বিজেপিকে নিশানা করে যাচ্ছে তৃণমূল। প্রথমে তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডল, এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট, আর তার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই চিঠির ছবি দিয়ে পোস্ট করেন এক্স হ্যান্ডলে। যে চিঠিতে দিল্লি পুলিশের তরফে লেখা হয়েছে, দিল্লির লোধি কলোনি থানার পুলিশ লিখেছে, বাংলাদেশি সন্দেহে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের পরিচয়পত্র সহ বেশ কিছু নথি 'বাংলাদেশি ভাষা'য় লেখা। তদন্তের স্বার্থে সেই 'বাংলাদেশি ভাষা'র নথিগুলি হিন্দি ও ইংরেজিতে অনুবাদের জন্য অনুবাদক প্রয়োজন। আর এই চিঠি ঘিরেই তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পোস্ট করেছেন, 'কলঙ্কজনক, অপমানজনক, দেশবিরোধী, অসাংবিধানিক। এটা ভারতের সমস্ত বাংলাভাষী মানুষকে অপমান। তারা এই ধরনের ভাষা ব্য়বহার করতে পারে না, যা হেয় প্রতিপন্ন করে ও ভিত্তিকে নাড়িয়ে দেয়। আমরা অবিলম্বে দেশের বাঙালি বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদের আহ্বান জানাই।'আর এরপর সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পোস্টটিকেই পুনরায় পোস্ট করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য পাল্টা নিশানা করেছেন। 'অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করার জন্য দিল্লি পুলিশ ভাষাটিকে 'বাংলাদেশি' হিসেবে উল্লেখ করে একেবারেই ঠিক বলেছে। ভারতে যে ধরনের বাংলা ভাষা বলা হয়, তার উচ্চারণ, বাক্য গঠন এই ভাষার থেকে একেবারেই আলাদা। বাংলাদেশের সরকারি ভাষা কেবল ধ্বনিতাত্ত্বিক দিক থেকেই আলাদা নয়, বরং সিলেটির মতো উপভাষাও রয়েছে যা ভারতীয় বাঙালিদের কাছে প্রায় বোধগম্যহীন। আসলে "বাংলা" নামে কোনও ভাষা নেই যা এই সমস্ত রূপগুলিকে ভালভাবে অন্তর্ভুক্ত করে।'
আর অমিত মালব্যর এই পোস্টের পাল্টা আরেকটি পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, আসলে "বাংলা" নামে কোনও ভাষা নেই- পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিজেপি দ্বারা চালিত প্রতিষ্ঠানগুলির এই বিস্ময়কর বক্তব্য বাঙালিদের প্রতি তাদের গভীর বিদ্বেষের প্রতিফলন।পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, মূর্খ, অর্ধশিক্ষিত অমিত মালব্য। যিনি জানেনই না যে জন গণ মন অধিনায়কের উৎপত্তি কোথায়। যিনি জানেনই না বন্দেমাতরমের উৎপত্তি কোথায়। যিনি জানেনই না যে ভারতবর্ষে বেশিরভাগ নোবেল প্রাইজ কোথায় এসেছে। তাই এই অর্ধশিক্ষিত যে কথা, তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন আছে?'






















