TMC Education Cell: তৃণমূল শিক্ষা সেলে রদবদল, নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত?
West Bengal News: প্রতিবাদী শিল্পীদের বয়কট নিয়ে, তৃণমূলের অন্দরে যাকে বিতর্কিত পরিস্থিতি। কোন্দল থামাতে বার বার হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে।

কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মান্য করেন, এবং তাঁকে সমর্থন করেন। এই কারণেই পড়তে হয়েছে দলের রোষানলে। বিভিন্ন জেলায় তৃণমূল শিক্ষা সেলে রদবদল বিতর্কে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন তৃণমূলের একাধিক শিক্ষকনেতা। জেলা সভাপতিদের সুপারিশ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়েই পুনর্গঠন করা হয়েছে কমিটি। দাবি করলেন তৃণমূল শিক্ষা সেলের চেয়ারম্যান ব্রাত্য বসুর। রদবদলে নতুন সমীকরণ? জল্পনা তুঙ্গে।
প্রতিবাদী শিল্পীদের বয়কট নিয়ে, তৃণমূলের অন্দরে যাকে বিতর্কিত পরিস্থিতি। কোন্দল থামাতে বার বার হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। এরই মধ্যে এবার তৃণমূল শিক্ষা সেলে রদবদল ঘিরে দানা বাঁধল বিতর্ক। বাদ পড়ে মুখ খুললেন একাধিক শিক্ষক নেতা। তাহলে কি তৈরি হল নতুন সমীকরণ? উঠল প্রশ্ন। শাসক দলের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপা, পার্শ্বশিক্ষক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের সংগঠন, একমকী, শিক্ষাকর্মীদের সংগঠনের কমিটির রদবদলে ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের শিক্ষা সেলের চেয়ারম্যান। নতুন কমিটিতে কারা আসছেন, সোশাল মিডিয়ায় তা জানিয়েছে ব্রাত্য় বসু। এর পরই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন কমিটি থেকে বাদ পড়া বা জায়না না পাওয়া তৃণমূলের একাধিক শিক্ষকনেতা। তাঁদের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে কাজ করার কারণেই তাঁদেরকে পড়তে হয়েছে দলের রোষানলে।
প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি মইদুল ইসলাম বলেন, "আশ্চর্যজনকভাবে মন্ত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে আমার পোস্ট করি, তাঁর হয়ে সমর্থন করি, এটা মানে না। আমাদেরকে একাধিকবার হুমকি দেয়, কেন কেন এগুলো করে আমাদেরকে সরিয়ে দেয়া হবে। যারা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে পোস্ট করবে তার দলবিরোধী কাজ করছে, তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তাদের কোনও কাজ করতে হবে না। এরকম বিশৃঙ্খলা তৈরি করে আসছিলেন। আজকে তিনি আমাদের সেই সরিয়ে দিলেন।''
পদ হারিয়ে শিক্ষক নেতা-নেত্রীদের প্রশ্ন - যাঁরা অভিষেককে সমর্থন করেন তাঁরা কি দলবিরোধী? পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির অপসারিত সভাপতি সোনালি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই লিস্টটি সমপূর্ণভাবে অগণতান্ত্রিক। আমরা অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশ মেনে চলি। তিনি এত জনদরদি কাজ চলেছেন সেজন্য ওঁকে সাধুবাদ জানাই। অভিষেক ব্যানার্জিকে আমরা সাপোর্ট করি বলেই কি এই রোষানলে আমাদের পড়তে হল? তাহলে কি যারা অভিষেক ব্যানার্জিকে সাপোর্ট করবে তারা কি দলবিরোধী কাজ করছে? আমরা কি দলবিরোধী কাজ করছি? এই প্রশ্ন রইল।''
আর জি করকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামা শিল্পীদের বয়কটের ডাক ঘিরে তৃণমূলের অন্দরেই স্পষ্ট হয়েছে বিভাজন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে কার্যত খারিজ করে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। কিছুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সমর্থনে, সোশাল মিডিয়ায় ধারাবাহিক পোস্ট করায়, তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সহ-সভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডল এবং তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি প্রীতম হালদারকে বহিষ্কার করে দল। সেই মণিশঙ্করের ঠাঁই হয়নি এবারের নতুন কমিটিতে। ফেসবুকে ব্রাত্য বসু লিখেছেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমত্যানুসারে তথা নির্দেশে, তৃণমূল কংগ্রেসের ৩৫-টি সাংগঠনিক জেলা-সভাপতিদের (AITC)সুপারিশক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও তৃণমূলের শিক্ষক নেতাদের অভিযোগ, কাঁথি, আলিপুরদুয়ার, কৃষ্ণনগর সহ একাধিক সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদেরর সুপারিশ মানা হয়নি।
আরও পড়ুন: Saline Controversy: স্যালাইনকাণ্ডে সাসপেন্ড, হাইকোর্টের দ্বারস্থ মেদিনীপুর মেডিক্যালের চিকিৎসক






















