Anubrata Mandal Arrested: মেয়ে কী করেন, সংসার চলে কী করে, অনুব্রতকে ম্য়ারাথন জিজ্ঞাসাবাদ গোয়েন্দাদের
Cattle Smuggling Case: শনিবার সকাল থেকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অনুব্রতকে। শারীরিক অবস্থার জন্য মাঝে খানিক ক্ষণ বিরতি দেওয়া হয়।
কলকাতা: বিধায়ক নন, সাংসদ নন, নন রাজ্যের মন্ত্রীও। শুধুমাত্র শাসকদলের (TMC) জেলা (Birbhum) সভাপতি তিনি। তার বাইরে কী করেন, পেশা কী তাঁর, ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে এমনই একগুচ্ছ প্রশ্ন নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা (CBI)। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে এই মুহূর্তে সংসার অনুব্রতর, সেই মেয়ের পেশা কী, তাঁদের সংসার চলে কী ভাবে, অনুব্রতর দেহরক্ষীর খরচই বা উঠে আসে কোথা থেকে, জানতে চাইছেন গোয়েন্দারা। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির একাধিক সম্পত্তির কথা জানা গিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের দাবি। কিন্তু অনুব্রতর আয়ের উৎস কী, তা-ই জানতে তৎপর সিবিআই।
সকাল থেকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ অনুব্রতকে
গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) শনিবার সকাল থেকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অনুব্রতকে। শারীরিক অবস্থার জন্য মাঝে খানিক ক্ষণ বিরতি দেওয়া হয়। মধ্যাহ্ণভোজের পর ফের শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তৃতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও অনুব্রতর জন্য নতুন প্রশ্নমালা তৈরি কার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাতেই তাঁর আয়ের সন্ধান পেতে উৎসুক গোয়েন্দারা।
সূত্রের খবর, এ দিন অনুব্রতকে দফায় দফায় জেরা করেন গোয়েন্দারা। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আয়ের উৎস কী, মোট কত টাকার সম্পত্তি, গরুপাচার নিয়ে তিনি কী জানেন, এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ পেয়েছিলেন কিনা, এমন নানা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়। এর পাশাপাশি, কন্যা সুকন্যা কী করেন, তাঁদের সংসার চলে কী ভাবে, নিরাপত্তারক্ষীদের খরচ চালান কী ভাবে অনুব্রত, তা-ও জানতে চাওয়া হয় বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির কাছে।
২০১৪ থেকে ২০১৭, এই ৩ বছরে খুব কম সময়ের ব্যবধানে অনুব্রত এবং তাঁর স্ত্রী-মেয়ের নামে প্রচুর সম্পত্তি কেনার খোঁজ মিলেছে বলে দাবি সিবিআই-এর একটি সূত্রের। তার মধ্যে রয়েছে জমি, চালকল-সহ একাধিক সম্পত্তি। তাই কী ব্যবসা করেন অনুব্রত, তাঁর নামে কোন কোন সংস্থা রয়েছে, সম্পত্তির সঙ্গে আয়ের সঙ্গতি রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে সিবিআই। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সামনে রেখে অনুব্রতকে জেরা করা হচ্ছে।
সিবিআই সূত্রে দাবি, বিএসএফ কমাডান্ট সতীশ কুমারের আমলে মুর্শিদাবাদ এবং মালদা সীমান্ত দিয়ে ২০ হাজারের বেশি গরু পাচার করা হয়েছিল। বীরভূমকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই তথ্য চার্জশিটেও উল্লেখ করা হয়। সিবিআই সূত্রে দাবি, গরুপ্রতি ২ হাজার টাকা নিত বিএসএফ, কাস্টমস নিত ৫০০ টাকা। গরুপাচারের টাকার ভাগ যেত প্রভাবশালীদের কাছে। নগদে হত লেনদেন। কাদের কাছে টাকা পৌঁছত, সেই সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় অনুব্রতর কাছে।
মেয়ে কী করেন, আয়ের উৎস কী, অনুব্রতর কাছে জানতে চায় সিবিআই
এ দিন জিজ্ঞাসাবাদের সময় দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ছাড়াও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে একাধিক কথোপকথনের কল ডিটেলস সামনে রেখেও অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।