Kunal Ghosh: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ পচছে, শুধু মহুয়াকে নিয়ে রোজ রোজ বৈঠক, বললেন কুণাল
Mahua Moitra: নিশিকান্তের ঘোষণার পরই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন কুণাল।
কলকাতা: টাকার বিনিময়ে সংসদে আদানিদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে CBI তদন্তের নির্দেশ এসেছে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে (Nishikant Dubey)। সেই নিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বেলায় সংসদের নীতি কমিটির এত সক্রিয়তা কোথায় যায় বলে প্রশ্ন তুললেন তিনি।
নিশিকান্তের ঘোষণার পরই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন কুণাল। বলেন, "মহুয়ার কণ্ঠস্বর রোধ করার চিত্রনাট্যে কাজ করছে নীতি কমিটি। শুভেন্দু অধিকাীর ঘুষ খাওয়ার ভিডিও যখন পড়ে থাকে, CBI-এর এই ব্যস্ততা কোথায় থাকে? CBI এফআইআর করে রেখেছে গ্রেফতারির জন্য। কেন অনুমতি দিচ্ছে না নীতি কমিটি? তখন সাংসদ ছিল, ছ'সাত বছর ধরে পড়ে রয়েছে অভিযোগ। আর রোজ রোজ মহুয়াকে নিয়ে মিটিং হচ্ছে। কারণ রোজ মহুয়া রোজ মোদি সরকারের মুখোশ খুলে দিচ্ছে।"
শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির থেকে মোটা টাকার ঘুষ এবং দামি উপহারের বিনিময়ে মহুয়া সংসদে আদানিদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলে অভিযোগ করেন নিশিকান্ত। সেই নিয়ে নীতি কমিটির বৈঠক হয়েছে দফায় দফায়। পালা করে সেখানে হাজিরা দিয়েছেন নিশিকান্ত, মহুয়ার এক প্রাক্তন বন্ধু এবং মহুয়া নিজেও। সেখানে মহুয়াকে ব্যক্তিগত এবং অন্যায় প্রশ্ন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন: Mahua Moitra: 'মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে CBI নির্দেশ', বিস্ফোরক দাবি বিজেপি সাংসদের
তার পরই বুধবার নিশিকান্ত জানান, মহুয়ার বিরুদ্ধে CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে লোকপাল। গত ২১ অক্টোবর নিশিকান্ত জাতীয় লোকপালে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতেই এমন নির্দেশ বলে জানান তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'জাতীয় সুরক্ষা বন্ধক রেখে দুর্নীতি করার জন্য, আমার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সাংসদের বিরুদ্ধে CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে লোকপাল'।
এর পাল্টা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলেন মহুয়া নিজেও। লেখেন, ''১)CBI আগে আদানির ১৩ হাজার কোটির কয়লা কেলেঙ্কারির নিয়ে এফআইআর করুক। ২) জাতীয় সুরক্ষার প্রশ্ন এক্ষেত্রে খাটে যে, সন্দেহজনক ফরেন পোর্টফওলিও ইনভেস্টমেন্টের মালিকানাধীন (চিন এবং সংযুক্ত আরব আমির শাহির) আদানি সংস্থা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতি নিয়েই ভারতের বন্দর এবং বিমানবন্দরগুলি কিনে নিচ্ছে। এর পর আমার জুতো গুনতে CBI-তে স্বাগত'।
লোকপালের অস্তিত্ব নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন মহুয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় পর পর তিনি লেখেন, 'লোকপাল অভি জিন্দা হ্যায়'। 'মোদিজির লোকপালের বেঁচেবর্তে রয়েছে, বিশেষ প্রজাতির সারমেয়দের কথায় উৎসাহিত হয়ে কাজে লেগে পড়েছে জেনে খুশি হলাম...'।
বৃহস্পতি ফের মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে নীতি কমিটির বৈঠক রয়েছে। এই মুহূর্তে সেদিকেই তাকিয়ে তৃণমূল।