(Source: Poll of Polls)
TMC MLA Threats : "দোতলা বাড়ির মালিক আবাস যোজনার সুবিধা পেলে বিডিও-র চাকরি থাকবে না", হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের
Awas Yojana : বিজেপির কটাক্ষ, আবাস যোজনা নিয়ে বিরোধীদের দাবিকেই সিলমোহর দিয়েছেন শাসকদলের নেতা
পূর্ণেন্দু সিংহ, তালডাংরা : আবাস-বিতর্কে বিডিও-কে হুঁশিয়ারি দিলেন বাঁকুড়ার তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)। গতকাল দলীয় সভা থেকে রীতিমতো হুমকির সুরে বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী (Arup Chakraborty) বলেন, "দোতলা বাড়ির মালিক আবাস যোজনার সুবিধা পেলে বিডিও-র চাকরি থাকবে না। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সেই অভিযোগ তুলে বিডিও-কে সরকারি পদ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।"
তালডাংরার বিধায়কের বক্তব্য সামনে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। জেলা নেতৃত্বের দাবি, নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে ওই মন্তব্য করেছেন বিধায়ক। বিজেপির কটাক্ষ, আবাস যোজনা নিয়ে বিরোধীদের দাবিকেই সিলমোহর দিয়েছেন শাসকদলের নেতা।
বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার তালডাংরায় ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের বাঁকুড়া জেলা সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রকাশ্য সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মহম্মদ সেলিম। শনিবার তালডাংরা বাজারে সেই সভার পাল্টা সভা করে তৃণমূল। সেই সভাতেই বক্তব্য রাখতে উঠে তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "গরিব মানুষ ঘর পাক, এটা আমরা চাই। কোনও দোতলা ঘরের মালিক যদি আবাস যোজনার ঘরের টাকা পান তাহলে সেই বিডিওর চাকরি থাকবে না। আমি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সেই অভিযোগ তুলে বিডিওকে সরকারি পদ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।"
এনিয়ে সুর চড়ান বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, "গরিব মানুষ ঘর পাবে এটা স্বাভাবিক। তার মানে এটা নয়, কোনও সরকারি আধিকারিককে প্রকাশ্যে এভাবে হুমকি দেওয়া। এটা রীতি-বহির্ভূত। আমি মনে করি, যদি কোনও বিডিওর কাজের বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকে, সেটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বলা উচিত। কিন্তু, এভাবে প্রকাশ্যে কোনও সরকারি পদের অবমাননা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।"
অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "যে কোন কারণেই হোক, লোকের কাছে ধরা পড়ে গেছে বলেও হতে পারে তালডাংরার বিধায়ককে বলতে হচ্ছে। বিডিও-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উনি কে। ওঁর মুখ্যমন্ত্রী আছেন তো। ওঁর দলের নেতারা আছেন তো। পাকাবাড়ির লোককে টাকার বিনিময়ে ঘর পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন, কারা এই লিস্ট করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিটাই আমরা প্রথম দিন থেকে করে যাচ্ছি।"
পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "অনিয়ম হয়ে থাকলে, যদি কারও গাফিলতিতে হয়, তাঁকে দুটো কথা শুনতে হয়। এটা আলাদা বিষয়। প্রথম যখন বিপিএল তালিকা তৈরি হয়েছিল, তখন জেলায় জেলায় সিপিএম নেতারা ছত্রে ছত্রে যা করেছিলেন, সেগুলি ভুলে গিয়ে উনি (সুজন চক্রবর্তী) ধোয়া তুলসি পাতা সাজছেন। বিজেপির রাজ্যগুলিতে কী কী হয়ে আছে আমরা দেখিনি? এখানে কোথাও অনিয়ম থাকলে সংশোধন হচ্ছে। নিশীথ প্রামাণিক মন্ত্রী, তাঁর বাবার নাম কীভাবে উঠে গেল ? বিরোধীরা বলতে পারলে, শাসকদল বলতে পারে না?"