Madan Mitra: 'রাজনীতি করলে ইডি-সিবিআই ছুঁয়ে আসতে হয়, ওটা স্টেটাস সিম্বল', অভিষেককে তলব প্রসঙ্গে মদন
Enforcement Directorate : প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেককে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ চলছে
কলকাতা : "রেগুলার উকিল যেমন কোর্টে যান প্র্যাক্টিস করতে, ডাক্তারবাবু যেমন চেম্বারে যান, তেমনই পলিটিসিয়ানদের একবার ইডি বা সিবিআই, আর পুরোহিতদের একবার মন্দির ছুঁয়ে আসতে হয়।" প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ইডির জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)।
মদন মিত্র বললেন, "এজেন্সির এগুলো চলছেই। আজকেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি দফতরে। ফলে, এগুলো নিয়ে মানুষ বা কোনও রাজনৈতিক নেতৃত্ব খুব একটা ভাবিত নন। রেগুলার উকিল যেমন কোর্টে যান প্র্যাক্টিস করতে, ডাক্তারবাবু যেমন চেম্বারে যান, তেমনই পলিটিসিয়ানদের একবার ইডি বা সিবিআই, আর পুরোহিতদের একবার মন্দির ছুঁয়ে আসতে হয়। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার।"
কিন্তু এনিয়ে কোনও চাপ নেই ?
এই প্রশ্নের উত্তরও কামারহাটির বিধায়ক দিলেন সোজাসাপ্টা, একেবারে নিজস্ব স্টাইলে। মদন বলেন, "এগুলো স্টেটাস সিম্বল। যেমন- আমার গলায় একটা হার আছে। ওগুলো না থাকলে বিধানসভায় ঢোকার অনুমতিই পেতাম না। ওগুলো আছে বলেই তো এভাবে বসে থাকতে পারছি। না হলে আমি আর রাস্তার সামনে একটা পাগল গান গেয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে, দু'টোর কোনও তফাত থাকবে না। একই হয়ে যাব।"
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেককে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আজ সকাল ১১টা ১২ মিনিটে বাড়ি থেকে রওনা হন তিনি। ১১টা ৩৪ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকেন। ১২টা ১০ মিনিট থেকে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
ED সূত্রে খবর, মূলত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও তাপস মণ্ডলের বয়ানের ওপর ভিত্তি করেই প্রশ্নমালা সাজানো হয়েছে। ED সূত্রে দাবি, বয়ানে তাপস মণ্ডল জানিয়েছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তাবাহক ছিলেন কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। অভিষেকের বার্তা তিনি পৌঁছে দিতেন মানিক ভট্টাচার্যর কাছে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সঙ্গে বর্তমানে অভিষেকের কী সম্পর্ক, তা নিয়ে জানতে চাওয়া হতে পারে। এর আগে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ED দাবি করে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের CEO ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্র ধরে তৃণমূল সাংসদকে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। ED-র দাবি, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের COO ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। অভিষেক তাঁর সাহেব বলে জেলে যাওয়ার আগে দাবিও করেন কালীঘাটের কাকু। ED সূত্রে খবর, অভিষেকের কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে, সুজয়কৃষ্ণকে তিনি কীভাবে চিনতেন? লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে কী কাজ করতেন সুজয়কৃষ্ণ? ED সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে উঠতে পারে কুন্তল ঘোষের চিঠি প্রসঙ্গ। প্রয়োজন বুঝলে তা নিয়েও অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।