TMC Shahid Diwas: 'আজ বাংলা তার ১৩ জন অমর শহিদকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে', অনুষ্ঠানের আগে ট্যুইট অভিষেকের
TMC MP Abhishek Banerjee: 'শহিদ দিবস, প্রত্যাবর্তনের দিন। হৃদয়ের অগুনতি আবেগকে জাগিয়ে তোলার দিন', অনুষ্ঠান শুরুর আগে ট্য়ুইটারে শ্রদ্ধা নিবেদন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
কলকাতা: 'শহিদ দিবস (TMC Shahid Diwas), প্রত্যাবর্তনের দিন। হৃদয়ের অগুনতি আবেগকে জাগিয়ে তোলার দিন', অনুষ্ঠান শুরুর আগে ট্য়ুইটারে শ্রদ্ধা নিবেদন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (TMC MP Abhishek Banerjee)। আরও লিখলেন, 'আজ বাংলা তার ১৩ জন অমর শহিদকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁরা। আমি অনুপ্রাণিত, সঠিক সমাজ গড়ার লক্ষ্যে আমার কাজ চালিয়ে যাব।'
প্রেক্ষাপট...
এবার ৩০তম শহিদ দিবসের উদযাপনের বিশেষভাবে তোড়জোড় করেছে তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবুজ ঝড়ের দাপট সত্ত্বেও অশান্তি থেকে প্রাণহানির মতো একাধিক অভিযোগ গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ভোট লুঠের অভিযোগও ভুরি ভুরি। এতেই শেষ নয়। নির্বাচনের গণনা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও প্রাণহানির ঘটনায় লাগাম পরেনি। দিকে দিকে উদ্ধার হচ্ছে ব্যালট। গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে নির্বাচন কমিশন তথা রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা। তৃণমূল সরকার অবশ্য এই সমস্ত কিছুকেই বিরোধী পক্ষের চক্রান্ত ও বিক্ষিপ্ত ঘটনা বলে দাবি করেছে। কিন্তু তাদের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন দলীয় নেতা-বিধায়করাই। যেমন, ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। গত কাল তিনি বলেন, 'বোমাবাজির জেরে ভোটের রেজাল্ট নেগেটিভ হয়েছে। এমন পঞ্চায়েত ভোটের জন্য দায়ী কমিশন। সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনও অভিজ্ঞতাই নেই পুলিশ ও কমিশনের।' এতেই শেষ নয়। হুমায়ুনের আরও প্রশ্ন, 'এই আচরণ যদি বুদ্ধবাবুর পুলিশ করত, তা হলে কি পরিবর্তন হত? অতীত ভুললে চলবে না।' বিজেপির বিডিও অফিস ঘেরাও নিয়েও বার্তা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন,'বিজেপি যে বিডিও অফিস ঘেরাও করবে তা ন্যায্য।' এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব এদিনের মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন, সে দিকে তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।
জাতীয় রাজনীতি...
রাজ্য়ে যখন অশান্তি ও প্রাণহানির অভিযোগে তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলছেন সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারা, তখনই '২৪-র নির্বাচনের দিকে মাথায় রেখে সিপিএম-কংগ্রেসের-সহ ২৫ টি দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট গড়েছে তৃণমূল। কিন্তু বাংলায় যখন এরকম পরিস্থিতি, তখন জাতীয় মঞ্চে কী ভাবে কাজ করবে এই জোট? সেই মর্মে কি কোনও বার্তা দেবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়? সাধারণ নির্বাচনের আগে দলের নেতাকর্মীদের জন্য কোনও নির্দিষ্ট দিকনির্দেশ কি থাকবে তাতে? কী বলবেন অভিষেক? সব মিলিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে।