Dev: 'রাজ্য সরকারের উদ্যোগেই' শুরু হতে চলেছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, কী বার্তা দেবের ?
TMC MP Dev On Ghatal Master Plan: ঘাটালে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি, এবার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কী বার্তা তৃণমূল সাংসদ দেবের ?
রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: আগামী ৫ বছরের মধ্যেই শেষ হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান-এর কাজ। রাজ্যের শেষ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে জনসম্পদ ভবনে মিটিংয়ের পর এমনটাই জানালেন ঘাটালের সাংসদ দেব (TMC MP Dev)।
আগামী বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ শুরু হবে
'কেন্দ্র- রাজ্য' দীর্ঘ টাল বাহানার পর অবশেষে শুরু হতে চলেছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান এর কাজ শুরু হবে। সোমবার দুপুরে সল্টলেকে জনসম্পদ ভবনে সেচ দপ্তরে মিটিং করেন রাজ্যের শেষ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং ঘাটালের এমপি দীপক অধিকারী । মিটিং শেষে দীপক অধিকারী জানান,' ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান সম্পূর্ণ করতে সবথেকে আগে দরকার ঘাটালের মানুষের সহযোগিতা।'
রাজ্য সরকারের উদ্যোগেই শুরু হতে চলেছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান
জল সম্পদ উন্নয়ন ভবনে এদিনের মিটিংয়ে সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের ও এই দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে দেবের প্রায় এক ঘন্টা বৈঠক হয় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগেই শুরু হতে চলেছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান শুরু করার আগে খাল কাটা পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা অনেক কাজ রয়েছে, সেই কাজগুলি শুরু হতে চলেছে জানুয়ারি মাসে। তার সবুজ সংকেত পাওয়া গেল সোমবারের বৈঠক থেকে।
আরও পড়ুন, মানিকতলা উপনির্বাচনে TMC প্রার্থী সাধন-পত্নী, এবার মুখ খুললেন মেয়ে শ্রেয়া, 'আমাকে সরাতে..'
পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যতম লোকসভা কেন্দ্র হল ঘাটাল। বছরের পর বছর বন্যায় বেকায়দায় পড়েছে ঘাটাল। ভোট গিয়েছে, ভোট এসেছে। কিন্তু ঘাটালের পরিস্থিতি বদলায়নি। আর সেখানেই পাখির চোখ ছিল ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেবের। চলতি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানকে টেনে আনেন মূল ফোকাসে দেব। প্রচারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতাও বলেন, 'কেন্দ্র টাকা না দিলে টাকা দেবে রাজ্য। দিদি ভাইকে তো ফেরাতে পারে না।' যদিও পাল্টা সেসময় দিলীপ ঘোষ তোপ দেগে বলেছিলেন,' সে তো ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। দিদি অনেকবার বলেছেন। ঘাটালের মানুষ কি অপরাধ করেছে? কেন্দ্র তার বরাদ্দ দিয়েছে। বাকি পয়সা আপনি দিন। ৪০ শতাংশ দিতে পারছেন না। ৬০ শতাংশ কেন্দ্র দিয়েছে। কাজ শুরু করতে পারেননি। ওখানকার মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবে। আর জলের মধ্যেই বসবাস করবে।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।