(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Adhir Ranjan Chowdhury : বিজেপির সব থেকে বড় এজেন্ট, অধীর চৌধুরীকে হারানোর চ্যালেঞ্জ কল্যাণের
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরীকে ( Adhir Chowdhury ) হারানোর চ্যালেঞ্জ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ( Kalyan Banerjee )।
আশাবুল হোসেন, রাজীব চৌধুরী ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : বিজেপির ( BJP ) এজেন্ট বলে নিশানা করে, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ( Abhishek Banerjee ) মঞ্চ থেকেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরীকে ( Adhir Chowdhury ) হারানোর চ্যালেঞ্জ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ( Kalyan Banerjee )। পাল্টা জবাব দিয়েছেন অধীর চৌধুরীও।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, 'এই পশ্চিমবঙ্গে নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির সব থেকে বড় এজেন্ট যদি কেউ থাকে, এই পশ্চিমবঙ্গের বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী, এত বড় দালাল কখনও কেউ হয়নি।'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে, বিজেপির এজেন্ট বলে আক্রমণ করে, এবার, সরাসরি অধীর চৌধুরীকে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস এবং তৃণমূল দু-দলই বিরোধীদের জোট 'INDIA'-র গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীকে জিততে না দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ' কংগ্রেসী নেতারা জিজ্ঞাসা করেন, অনেক নেতা, নাম বলতে চাই না। দাদা এ কী হয়েছে, অধীরদার কী হয়েছে? বলি এটাই হয়েছে, ও তো বিজেপির লোক, এদিকে ওদিকে থাকবে, বিজেপির সমর্থনে বহরমপুরে জিতবে, না হলে জিতবে না। জিততে তোমায় অধীর চৌধুরী দেব না। দেব না অধীর চৌধুরী তোমায় জিততে।'
বামপন্থী সংগঠন থেকে অধীর চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন শুরু৷ তারপর, ১৯৯১ সালে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়ে হেরে যান অধীর৷ তারপর ১৯৯৬৷ ফের নবগ্রাম বিধানসভায় ভোটে লড়াই৷ সেবার প্রায় সাড়ে ২২ হাজার ভোটে জেতেন তিনি৷ এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে৷ ১ বারের বিধায়ক। টানা ৫ বারের সাংসদ। ধীরে ধীরে মুর্শিদাবাদকে নিজের দুর্গে পরিণত করেন অধীর চৌধুরী৷ তৃণমূল আমলে প্রবল ঘাসফুল ঝড়ের মধ্যেও বহরমপুরে কংগ্রেসের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন তিনি। এবার সেই তাঁকেই চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ল তৃণমূল!
এই মন্তব্য শুনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া , ' আমি তো চাইছি আমার বিরুদ্ধে তৃণমূলের যে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব, তারা এসে দাঁড়াক। আমি তো চ্য়ালেঞ্জ অনেক দিন আগে করেছি এবং এটাও বলে দিয়েছি, আমার তো কিছু নাই, পুলিশ নাই, টাকা নাই, অস্ত্র নাই, পাতি নাই, সংগঠন নাই, কিছু নাই। তৃণমূল তাদের দলের পক্ষ থেকে একজনকে দাঁড় করাক, যদি আমাকে হারিয়ে দেয়, আমি রাজনীতি করা ছেড়ে দেব।'
এর আগে, কখনও খোদ মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, কখনও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করেছেন। অভিষেক বলেছেন, 'বিজেপির সবচেয়ে বড় এজেন্টের নাম অধীর চৌধুরী।...দল বললে আমি বহরমপুর থেকে ভোটে লড়ব'
অধুনা বহরমপুর আর অধীর চৌধুরী যেন সমার্থক। একসময়, জেলার তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীকে জেতানোর মূল কারিগর ছিলেন তিনি৷ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মত কিংবদন্তী নেতাকে নিজের জেলা থেকে জিতিয়ে লোকসভায় পাঠিয়েছিলেন অধীর। এবার তাঁকেই চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ল তৃণমূল।