TMC Program: 'আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান' কর্মসূচিতে বিক্ষোভ, জেলায় জেলায় অশান্তি
Amader Para Amader Samadhan: "আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান" শিবির ঘিরে বিশৃঙ্খলা ও অশান্তির ছবি।

কলকাতা: জেলায় জেলায় 'আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান' কর্মসূচিতে বিক্ষোভ। বীরভূমের রাজনগর থেকে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর, দিকে দিকে অশান্তি। কচুয়ার ক্যাম্পে আবার সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল ও সিপিএম।
"আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান" শিবির ঘিরে বিশৃঙ্খলা ও অশান্তির ছবি। "পাড়ায় সমাধান" শিবিরে সভাপতি নির্বাচন নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের কচুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। পুলিশের সামনেই ধস্তাধস্তি থেকে হাতাহাতি, বাদ গেল না কিছুই। সিপিএমের দাবি, ক্যাম্পে উপস্থিত ১০৫ জন হাত তুলে তাদের পক্ষে ভোট দেন। ৬৫ জন তৃণমূলকে সমর্থন করেন। সিপিএমের অভিযোগ, তাঁদের দিকে সমর্থনের পাল্লা ভারী হওয়া সত্ত্বেও গায়ের জোরে তাতে বাধা দেয় তৃণমূল। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, বহিরাগত এনে গন্ডগোল করেছে সিপিএম। কচুয়ার সিপিএম নেতা মুনশি আব্দুল হালিম বলেন, "সভাপতি নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সত্ত্বেও তৃণমূলের কিছু ব্যক্তি তারা মানতে চায়নি বা তাদের সভাপতি করতে হবে, এই দাবি করে একটা উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি করেছিল।'' এদিন পাড়ায় সমাধান শিবিরে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন স্বরূপনগরের তৃণমূল বিধায়ক বীণা মণ্ডল। প্রতিক্রিয়ার জন্য তৃণমূল বিধায়ক বীণা মণ্ডলকে ফোন করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি। বসিরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল নেতা ও কর্মাধ্যক্ষ বুলবুল ইসলাম বলেন, "সিপিএম চক্রান্ত করে ভোটাভুটি বন্ধ করার জন্য, এই ক্যাম্পটাকে বন্ধ করার জন্য তারা বহিরাগত লোকজন এনে তাঁরা ওখানে হট্টগোল শুরু করে।''
এদিকে বসিরহাটের পিফা এলাকায় পাড়ায় সমাধান শিবির থেকে কংগ্রেস নেতা, যিনি পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতাও, তাঁকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে। পিফা গ্রাম পঞ্চায়েত কংগ্রেস নেতা ও বিরোধী দলনেতা আব্দুল কাদের সর্দার বলেন, "যখন পাড়ায় সমাধান হচ্ছে, সেখানে সরকারি আধিকারিকদের কাজে লাগিয়ে এবং তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী একসঙ্গে এসে, আমরা যাতে স্কিম দিতে না পারি, তার সমস্ত রকমের বন্দোবস্ত তারা করছে। আমাদের স্কিম দিতে দিচ্ছে না।'' এবিষয়ে সরকারি অফিসাররা মুখ খুলতে চাননি। তাঁদের হয়ে সওয়াল করেছে তৃণমূল। গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও উপপ্রধান আলমগীর সর্দার বলেন, "আমাদের এখানে পাড়ায় সমাধান সুন্দরভাবে হচ্ছে। এক মেম্বার, তার যে পার্টে বাড়ি, অন্য পার্টে গিয়ে সেখানে নামের প্রস্তাব দিচ্ছে। সেজন্যই সরকারি অফিসার বলছে, তোমার তো এপাড়ায় ভোটার না। তাই একটা পার্টের জনপ্রতিনিধি আরেকটা পার্টে গিয়ে যখন কথা বলছে, সেই জন্যই সে বাধা সৃষ্টি করছে।''























