Kunal On Sisir Adhikari:শিশির অধিকারীর সম্পত্তিতে বিপুল বৃদ্ধি ও অসঙ্গতির অভিযোগ জানিয়ে শাহকে চিঠি কুণালের
Disproportionate Asset Case: শিশির অধিকারীর সম্পত্তিতে বিপুল বৃদ্ধি ও অসঙ্গতির অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। অভিযোগের তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন তিনি।

পূর্ব মেদিনীপুর: শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari Asset Case) সম্পত্তিতে বিপুল বৃদ্ধি ও অসঙ্গতির অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (TMC Spokesperson Kunal Ghosh Letter)। অভিযোগের তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (Union Home Minister Amit Shah) চিঠি লিখলেন তিনি। সঙ্গে আরও বললেন, 'অমিত শাহের তরফে চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করা হয়েছে। সিবিআইয়ের কাছেও চিঠি পৌঁছেছে, সূত্র মারফত জেনেছি।' তাঁর দাবি, দিল্লি বাধা না দিলে তদন্ত নিশ্চিত। কুণালের আরও বক্তব্য, 'সারদা মামলায় বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।' কাঁথির প্রবীণ সাংসদের অবশ্য বক্তব্য, '১৯৬৮ সালে সম্পত্তি কেনা হয়েছিল। যখন থেকে আয়কর দিচ্ছি, তখন কুণাল ঘোষ জন্মাননি।'
যা জানা গেল...
'নথি থেকে দেখা যাচ্ছে, শিশির অধিকারীর সম্পত্তিতে ভয়ঙ্কর অসঙ্গতি রয়েছে। হঠাৎ ১৫ লক্ষ টাকা থেকে তা ১০ কোটি টাকা হয়ে গেল, আবার তা ৩ কোটি টাকায় নেমে গেল। প্রশ্ন হচ্ছে, ১০ কোটি টাকায় এটা বেড়ে গেল কী ভাবে? আর ৩ কোটি টাকায় কমলই বা কী করে?', প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এর মধ্যে কোনও অনৈতিক বিষয় রয়েছে কিনা, তা জানতে বড়সড় তদন্ত জরুরি, বলে মনে করেন কুণাল। সেই কারণে সিবিআইয়ের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও চিঠি লিখেছিলেন, জানান কুণাল। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে একটি চিঠি তিনি পেয়েছেন,যেখানে তাঁর পাঠানো চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করা হয়েছে।
শিশির অধিকারী যদিও কুণাল ঘোষের কোনও অভিযোগই মানেননি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, যে সম্পত্তি ঘিরে এই অভিযোগ তা ১৯৬৮ সালে কেনা হয়েছিল। আর যখন থেকে তার আয়কর দেওয়া হচ্ছে, তখন কুণাল ঘোষ জন্মাননি। প্রসঙ্গত, এর আগে শ্মশান উন্নয়ন ও টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ-সহ একাধিক অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছিল। শুধু তাই নয়। কাঁথি পুরসভা থেকে সারদার ফাইল লোপাটের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলাতেও সৌমেন্দু অধিকারীকে থানায় ডেকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। গত ৩ নভেম্বর তৃতীয় বার এই মামলা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদে ডাকা হয়েছিল সৌমেন্দু। তাঁর অভিযোগ, তাঁর দাদা দল ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর থেকেই পরিবারকে টার্গেট করা হচ্ছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি তারা করে না, পাল্টা জবাব দিয়েছিল তৃণমূলও। প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের মুখে দাদা শুভেন্দু অধিকারীর মতো বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সৌমেন্দুও। জল্পনা শুরু হয় শিশির অধিকারীকে নিয়েও। যদিও গত বছর জুলাই মাসে,রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দিল্লিতে সংসদ ভবনে গিয়ে ভোট দিয়ে এসে শিশির অধিকারী বলেন, 'তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব'।
তবে কি দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধেই তদন্তের আর্জি জানিয়ে চিঠি দিলেন কুণাল ঘোষ? ফের আলোচনায় এই প্রশ্ন।
আরও পড়ুন:দ্বিতীয় হুগলি সেতু ব্যবহার করেন? আজ রাত থেকেই যান নিয়ন্ত্রণ, জানুন কী নিয়ম, কী বিকল্প রুট
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
