Tollygunge News: টালিগঞ্জে তুমুল তাণ্ডব! শব্দবাজির প্রতিবাদ করায় মহিলাদের বেল্ট দিয়ে মারধর
আক্রান্ত প্রতিবাদী বলেন, 'বাজি ফাটাচ্ছিল। আমি বারণ করেছিলাম। বাচ্চাদের গায়ে বেশিরভাগ দিচ্ছে, বারণ করেছিলাম।'

কলকাতা: খাস কলকাতার টালিগঞ্জে! প্রকাশ্যে বেল্ট খুলে মার। বাড়ি ঢুকে ভাঙচুর। কালীপুজোর বিসর্জনে শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করায় এভাবেই মহিলাদের মারধরের অভিযোগ উঠল।
আক্রান্ত প্রতিবাদী বলেন, 'আমি বলছি বাচ্চাটার একটু হার্টের প্রবলেম আছে এদিকে দিও না। মাঝখানের দিকে ছুড়ে দাও। কেন আমরা এই কথা বলেছি। ছেলেরা দৌড়ে ওখান থেকে গালাগাল খিস্তি দিয়েছে। ঠাকুরটা বিসর্জন বেরিয়ে গেছে, সঙ্গে সঙ্গে আমাদের তাড়া করে ওপরে ওঠে। উঠোন থেকে মারতে মারতে নিয়ে এসেছে। আমরা ভয়েতে দরজা বন্ধ করে দিয়েছি। ঘরে ঢুকে গেছি। তার মধ্যেই বাঁশ নিয়ে ২৫-৩০জনের মতো বাড়িতে ঢুকেছে। ঢুকে ভাঙচুর। দরজা বন্ধ করে আমার ভাইয়ের বউ বাচ্চা নিয়ে বসেছিল। এক লাথি মারল খিল খুলে ঘরের মধ্যে হাফ চলে গেল।'
শুক্রবার রাতে কালীপুজোর বিসর্জন দেখতে গিয়ে এভাবেই আক্রান্ত হতে হল মহিলাদের। আক্রান্ত প্রতিবাদী বলেন, 'বাজি ফাটাচ্ছিল। আমি বারণ করেছিলাম। বাচ্চাদের গায়ে বেশিরভাগ দিচ্ছে, বারণ করেছিলাম। আমি ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে আসি। আমি বলেছি যেহেতু আমাকে ঢুকে মারে। বেল্টের বাড়ি মারছিল। কোমর থেকে বেল্ট খুলে, কিচ্ছু বলিনি। এটুকু বলার জন্য তুমি বেল্টের বাড়ি মারছ। বাঁশ নিয়ে এসেছিল।'
অভিযোগ, পুলিশকে ফোন করলেও মেলেনি সহযোগিতা। আক্রান্ত প্রতিবাদীদের কথায়, 'আমরা পুলিশকে ফোন করেছি, অনেকবার ফোন করেছি, পুলিশ বলল আমাদের ফোর্স নেই। আমরা এখন যেতে পারছি না।'
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। তিনি বলেন, 'একটা বাড়ি ভীষণভাবে তছনছ করে দিয়েছে। জিনিসপত্র ভেঙে গ্যাস সিলিন্ডার নষ্ট করে খুবই বীভৎস্য অবস্থা। সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশকে ডাকি। পুলিশকে ডেকে যারা গন্ডগোল করেছে তাদের আমি থানায় তুলিয়ে দিই।'
টালিগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।






















