Jalpaiguri Accident: মাঝরাতে পণ্যবোঝাই লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে আগুন, জখম চালক ও খালাসি ভর্তি হাসপাতালে
Head On Collision:ধূপগুড়িতে এশিয়ান হাইওয়ের ওপর পণ্যবোঝাই দুটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল কয়লা বোঝাই একটি লরি। জখম চালক ও খালাসিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ধূপগুড়িতে(dhupguri accident) এশিয়ান হাইওয়ের ওপর পণ্যবোঝাই দুটি লরির (goods carriage lorry) মুখোমুখি সংঘর্ষে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল কয়লা বোঝাই একটি লরি (fire at coal carriage lorry)। জখম চালক ও খালাসিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
রাত তখন ১টা। ধূপগুড়ির গিলান্ডি ব্রিজ লাগোয়া এশিয়ান হাইওয়ের উপর কয়লা বোঝাই লরির সঙ্গে পেঁয়াজ বোঝাই একটি লরির সংঘর্ষ হয়। তার পরই আগুন লাগে কয়লা বোঝাই লরিটিতে। দমকলের একটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ভয়ঙ্কর ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ এশিয়ান হাইওয়েতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। রাজ্যের নানা প্রান্তে এই ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা মোটেও নতুন কিছু নয়। প্রায় নিয়মিত কিছু না কিছু ঘটতে থাকে বলে অভিযোগ। তার পরও কি বিন্দুমাত্র সচেতন নয় প্রশাসন? রাতের হাইওয়েতে নজরদারি কি কিছু নেই? প্রশ্ন উঠছেই।
বার বার সড়ক দুর্ঘটনা...
সড়ক দুর্ঘটনা এই রাজ্য়ে এখন প্রায় প্রত্যেক দিনের ঘটনা। গত নভেম্বরেই যেমন সড়ক দুর্ঘটনায় এক বাইকচালকের মৃত্য়ু হয়েছিল নিউটাউনে। মৃতের নাম বিমল হালদার বলে জানায় পুলিশ। বয়স ৪৮ বছর। তিনি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানান, একটি ডাম্পার তাঁর বাইকে ধাক্কা মেরেছিল। পুলিশ ডাম্পারের চালককে আটক করে। তার আগে, গত অক্টোবরেও সল্টলেক সেক্টর ফাইভে পথদুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতে কারও প্রাণ না গেলেও তিন জন আহত হয়েছিলেন। সিগনাল ভেঙে একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে অপর একটি গাড়ি। আহত হন গাড়িতে থাকা এক মহিলা ও ২ পথচারী। দুটি গাড়ির চালককেই আটক করে পুলিশ। আবার আগস্ট মাসে খিদিরপুরে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের। পর দিন মৃতের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। ঘটনায় এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট। শোকজ করা হয় এক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও এক এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে। একই মাসে মহেশতলার সম্প্রীতি উড়ালপুলে দুর্ঘটনা ঘটে গাড়ি উল্টে আহত হন ১০-১২ জন। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে ভর্তি করা হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন সকাল ৮টা নাগাদ গাড়িটি পুণ্যার্থীদের নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বুরুল থেকে তারকেশ্বর যচ্ছিল। সম্প্রীতি উড়ালপুলে টায়ার ফেটে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িতে ২৫ জন পুণ্যার্থী ছিলেন। একই দিনে বৃষ্টিভেজা রাস্তায় ব্রেক কষতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে ই এম বাইপাসে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় ছোট গাড়ি। তবে এই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।