NRS Medical College: ইঞ্জেকশন দিতে দেরি, দৃষ্টিশক্তি হারানোর অবস্থা রোগীর; অভিযোগ এনআরএসের বিরুদ্ধে
এক মাসের ব্যবধানে দু’দফায় ২টি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। ফেরে ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি। তৃতীয় দফার ইঞ্জেকশন দিতে বিলম্ব করে হাসপাতাল, অভিযোগ করে পরিবার।
কলকাতা: সময়মতো ইঞ্জেকশন (Injection) না দেওয়ায় দৃষ্টিশক্তি হারানোর অবস্থা রোগিণীর। অভিযোগ এনআরএস হাসপাতালের (Hospital) বিরুদ্ধে। রোগীর পরিবার সূত্রে খবর, চোখে স্ট্রোক হয়েছিল নৈহাটির (Naihati) বাসিন্দার। অক্টোবর মাসে এনআরএসের (NRS) চক্ষু বিভাগে ভর্তি হন। এক মাসের ব্যবধানে দু’দফায় ২টি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। ফেরে ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি।
তৃতীয় দফার ইঞ্জেকশন দিতে বিলম্ব করে হাসপাতাল, অভিযোগ করে পরিবার। এখন ডান চোখের হারানোর পথে নৈহাটির বাসিন্দা, এমনটাই দাবি পরিবারের। ‘এই ধরণের ইঞ্জেকশন বিশেষভাবে আনাতে হয়। মেডিক্যাল স্টোরে মজুত থাকে না। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে’, ঘটনায় প্রতিক্রিয়া এনআরএস কর্তৃপক্ষের।
কিছুদিন আগে আরও একটি খবর প্রকাশ্যে আসে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগে চিকিৎসক মাত্র ২ জন। অপারেশন করার পাশাপাশি তাঁদেরই সামলাতে হয় আউটডোর। ধুঁকছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগ। সমস্যায় রোগী ও তাঁদের পরিজনরা। চিকিৎসক নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্যভবনের কাছে আবেদন করেছে কর্তৃপক্ষ। ভয়ঙ্কর করোনা আবহে বাড়ির ছোটদের নিয়েও যখন সবার দুশ্চিন্তা, তখন উদ্বেগের এক অন্য ছবি ধরা পড়ল খাস কলকাতায়। ১৯৪৬ সালে, ভারতের প্রথম পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগ চালু হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: Birbhum News: এবার পুরভোটের আগে রামপুরহাটে তৃণমূলে যোগদান বিজেপির যুব মোর্চা নেতার
অন্য়দিকে কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (Murshidabad Medical College and Hospital) চত্বরে অ্যাম্বুল্যান্সে (Ambulance) ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রাতে পার্কিংয়ে (Parking) দাঁড়িয়ে থাকা পরপর ১০টি অ্যাম্বুল্যান্সের কাচ ভাঙা হয় বলে অভিযোগ। চালকদের দাবি, স্থানীয় দুষ্কৃতীরা অ্যাম্বুল্যান্স ভাঙচুর করে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
ঠিক কী ঘটেছিল?
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পার্কিং এ থাকা ১০ টি অ্যাম্বুলেন্স এর সামনের দিকের কাঁচ ভাঙা, এমনটাই দেখা যায়। এদিকে অ্যাম্বুলেন্সে ভাঙচুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় সোমবার সকালে। চালকদের অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নির্দিষ্ট ভাবে অ্যাম্বুলেন্সে কাঁচ ভাঙা হয়েছে। তবে কে বা কারা কী উদ্দ্যেশ্যে করেছে তা জানা নেই তাদের। ঘটনায় আতঙ্কিত চালকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।