Visva Bharati: অনুমতি দিয়েও সিদ্ধান্তবদল, বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে ঢুকতে পারবেন না সকলে, জানালেন কর্তৃপক্ষ
Santiniketan News: বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে লিখিত বিবৃতি জারি করে একথা জানানো হয়েছে।

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: আবারও সাধারণ মানুষ এবং পর্যটকদের কাছে বন্ধ হয়ে গেল বিশ্বভারতীর প্রাঙ্গণ। বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল, রবীন্দ্রভবন ছাড়া সব জায়গায় ঢুকতে পারবেন না সাধারণ মানুষ এবং পর্যটকরা। দু'দিন আগেই সর্বসাধারণ এবং পর্যটকদের জন্য বিশ্বভারতীর প্রাঙ্গণ সকলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন নব নিযুক্ত উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দু'দিনের মাথায় সেই সিদ্ধান্ত বদল হল কেন, উঠছে প্রশ্ন। (Visva Bharati)
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে লিখিত বিবৃতি জারি করে একথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, রবীন্দ্রভবন ছাড়া সব জায়গায় ঢোকা যাবে না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই আশ্রম আর দেখতে পাবেন না সাধারণ মানুষ এবং পর্যটকরা। শান্তিনিকেতনের আশ্রম এলাকাটি এখনই সাধারণ মানুষের অভিগম্য করা হবে না। আগামী দিনে নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে ওই জায়গায় ঢুকতে দেওয়া হবে সকলকে। এই ধরনের প্রবেশাধিকার যথাযথ পদ্ধতিতে ঠিক হওয়া দরকার। সপ্তাহের কোন দিন, কত সংখ্যক মানুষ প্রবেশ করতে পাবেন, নিয়মকানুন কী হবে, তা চূড়ান্ত হওয়া দরকার আগে। (Santiniketan News)
শান্তিনিকেতন UNESCO-র হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে। এর ফলে শান্তিনিকেতনের ‘জীবন্ত ঐতিহ্য’কে সংরক্ষণ করার গুরুদায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে কর্তৃপক্ষের কাঁধে। ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং পর্যটকদের প্রবেশাধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হলে সঠিক পদ্ধতি প্রণয়ন করতে হবে। বিষয়টি এই মুহূর্তে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঐতিহ্য হিসেবে চিহ্নিত এলাকার একটি অংশ জনসাধারণের জন্য বন্ধ থাকে। উত্তরায়ণ কমপ্লেক্স, যেখানে রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাসভবন এবং বিভিন্ন শিল্প, স্থাপত্য ও ভাস্কর্য রয়েছে, বুধ এবং বৃহস্পতিবার ছাড়া অন্য দিন সখানে প্রবেশ করতে পারেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি, বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, অন্য সস্থাগুলিকেও প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। কিন্তু তার জন্য জনসংযোগ দফতর থেকে দুই সপ্তাহ আগে অনুমতি নিতে হয়। আবেদন করতে হয় pro@visva-brarati.ac.in-এ।
পাঠভবনে স্কুল চলাকালীন কোনও অবস্থাতেই (অর্থাৎ বুধ ও রবিবার ব্যাতীত সপ্তাহের সমস্ত দিন দুপুর ১.৩০টা পর্যন্ত) আশ্রম এেলাকার ভিতরে প্রবেশ বিধিসম্মত নয় এবং তা অনুমোদিত হবে না। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা প্রার্থনা করা হয়েছে। উপাচার্যের কার্যালয় থেকেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সেই মর্মে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু দু'দিনের মাথায় হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদলে গেল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
করোনাকালে ৬ বছর আগে, তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্য়াম্পাস ও আশ্রম প্রাঙ্গণে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। ছাড় দেওয়া হয় শুধু রবীন্দ্র ভবনকে। কিন্তু স্থায়ী উপাচার্য পদে প্রবীরকুমার ঘোষ দায়িত্ব নেওয়ার পরই বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস ও আশ্রম চত্বর সর্ব সাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু দু'দিনের মাথায় ফের পুরনো নিয়মেই ফিরল বিশ্বভারতী।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
