Viswa Bharati Update: বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যর বাড়িতে পুলিশ! চলছে জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও রেকর্ডিং
Birbhum News: জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব লিখিত আকারেও নেওয়া হচ্ছে, খবর সূত্রের
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়,বীরভূম: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Viswa Bharati) সদ্য প্রাক্তন উপাচার্যর বাড়িতে পুলিশ। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Bidyut Chakraborty) বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৫টি অভিযোগের তদন্তে পুলিশ। শান্তিনিকেতন থানার ওসি-সহ ৪ জনের বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সরকারি বাসভবনে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে সূত্রের খবর, প্রশ্নোত্তর পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব লিখিত আকারেও নেওয়া হচ্ছে, পরে তাতে সই করবেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে থাকাকালীন বারবার নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। কখনও তাঁর বক্তব্যে বিতর্ক হয়েছে। কখনও কোনও কাজ নিয়ে সরাসরি রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন তিনি। এরই মাঝে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে থাকায় মেয়াদ ফোরায় তাঁর। কিন্তু তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। কলা ভবনের অধ্যক্ষ সঞ্জয়কুমার মল্লিককে বিশ্বভারতীর অন্তর্বর্তী উপাচার্য করা হয়েছে।
এরই মধ্যে ফলক বিতর্কও শুরু হয়েছিল। unesco-এর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সম্মান পাওয়ার পরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একাধিক জায়গায় ফলক বসানো হয়েছিল। সেই ফলক ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়। ওই ফলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম ছিল, উপাচার্যের নামও ছিল। কিন্তু কোথাও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ছিল না। তার জেরেই ক্ষোভ দেখা যায় বিভিন্ন স্তরে। রাজনৈতিক স্তর থেকেও উষ্মা প্রকাশ করা হয়েছে। ফলক বদল করা হবে না বলেও কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল বিশ্বভারতীর তরফে। সেই ফলক বিতর্কে উপাচার্যকে নোটিস পাঠিয়েছিল পুলিশে। ১৪ নভেম্বর বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে (Bidyut Chakraborty) শান্তিনিকেতন থানায় হাজিরার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। ফলক-বিতর্কে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনারের করা মামলায় উপাচার্যকে ওই নোটিস দেওয়া হয়েছিল। পরে ওই প্রসঙ্গে উপাচার্যর থেকে রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার আগেই অবশ্য বিশ্বভারতীর বিতর্কিত ফলক বদলানোর নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর ছিল, নতুন ফলকে কী লেখা হবে তার বয়ানসহ চিঠি পাঠানো হয়েছিল। ওই বয়ানে আচার্য প্রধানন্ত্রী ও উপাচার্যের নামের কোনও উল্লেখ ছিল না। চিঠি পেয়েই ৪ সদস্য়ের একটি কমিটি তৈরি করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেখানে জায়গায় পেয়েছেন রবীন্দ্রভবনের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর অধ্যাপক অমল পাল, অধ্যাপক অমৃত সেন, অধ্যাপক শকুন্তলা মিশ্র ও অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: সপ্তাহের শেষ দিকে ১৫ ডিগ্রিতে নামবে পারদ ! শীতের কামড় কোথায় কোথায়?