North 24 parganas News: জামাইয়ের মারে প্রাণ হারালেন শ্বশুর ! আগরপাড়ায় মর্মান্তিক এই ঘটনার নেপথ্যে কী ?
Agarpara Murder Case: জামাইয়ের 'মারে' মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন শ্বশুর, হাসপাতালে নিয়েও শেষ রক্ষা হল না, শিউরে ওঠা ঘটনা আগরপাড়ায়

সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দাম্পত্য কলহ মেটাতে গিয়ে প্রাণ দিতে হল শ্বশুরকে ! আগরপাড়ায় আজাহিন্দ নগরে জামাইয়ের 'মারে' শ্বশুরের মৃত্যু। পলাতক জামাই। অভিযুক্ত জামাই সৈকত বোসের খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশিতে নেমেছে ঘোলা থানার পুলিশ। মৃত শ্বশুরের নাম অলোক মুখোপাধ্যায়। মৃত্যুকালীন বয়েস হয়েছিল ৫০।
জানা গিয়েছে, মেয়ে অয়ন্তিকার সঙ্গে পাশের পাড়ারই যুবক সৈকতের বোসের বিয়ে হয়েছিল ২০২১ সালে। বিয়ের পর থেকেই অশান্তি লেগেছিল এই দম্পতির মধ্যে।গত পাঁচদিন ধরে তুমুল অশান্তি চলছিল নিজেদের মধ্যেই। মেয়ে অয়ন্তিকার শ্বশুরমশাই, তার বাবা অলোক মুখোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠায়।শ্বশুরমশাই যেতেই মারধর শুরু করে জামাই সৈকত বোস। এরপরই সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। হাসপাতালে আনার পথেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। এরপর থেকে বেপাত্তা জামাই সৈকত। এদিকে এই ঘটনায় আগড়পাড়া আজাদহিন্দ উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আজ পুলিশ মর্গে পাঠাচ্ছে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ।
মূলত, প্রকৃত ঠিক কী কারণে এই দাম্পত্যকলহের শুরু ? তা প্রকাশ্যে আসেনি। পণ নাকি অন্য কোনও বিষয় এই অশান্তির মূলে দাঁড়িয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। অভিযোগ অনুসারে, কেন শ্বশুরমশাইকে এমন বেধড়ক মারধর করল জামাই ? তা এখনও পুরো খোলসা হয়নি। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে আরও কিছু প্রমাণ এবং প্রশ্ন হাতে আসবে। বেধড়ক মারেই মৃত্যু হয়েছে নাকি অন্য কোনও কারণে, তা জানা যাবে।
সন্তানের হাতে মা খুন, স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন- অপরাধের এই ঘটনাগুলি প্রায় প্রত্যহই বেড়েই চলেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে নিষ্পাপদেরকেই প্রাণ হারাতে হচ্ছে। তার সঙ্গে নারী নির্যাতনের ভুরভুরি ঘটনা তো রয়েছেই। তবে বেলঘড়িয়ার ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে আবার দেখিয়ে দিল, বাংলায় অপরাধ প্রবণতা কী হারে বেড়েই চলেছে। তার আরও একটা বড় উদাহরণ হল, জাতীয় সড়কে বেলাগাম দুষ্কৃতীরাজ! পানাগড়ে প্রায় ২০ কিমি ধাওয়া করে তরুণীকে কটূক্তি, অশালীন ইঙ্গিত, বারবার ধাক্কা মারা হয় গাড়িতে। পালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় গাড়ি। মৃত্য়ু হয় তরুণীর। কোথায় পুলিশ? কোথায় নজরদারি? ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।
এদিন সোশ্যালে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। বললেন, 'হাসপাতাল হোক কিংবা হাইওয়ে, বাংলায় নিরাপদ নন মহিলারা। প্রতিদিন একের পর এক ভয়ঙ্কর ঘটনা, রাজ্য সরকারের মুখে কুলুপ। বিচার পাইয়ে না দিয়ে দুষ্কৃতীদের আড়ালের চেষ্টা। বাংলায় জঙ্গলরাজ চলছে, বাংলা চায় ভয়মুক্ত পরিবেশ, বিচার, নিরাপত্তা, স্বাধীনতা'।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
