Water Crisis : পাইপ লাইন থাকলেও পড়ছে না জল, চরম জলসঙ্কটে আমডাঙা ; সেচ দফতরের শরণাপন্ন বাঁকুড়া পুরসভা
Water Crisis : চাতক পাখির মতো অপেক্ষার পরেও দেখা নেই বৃষ্টির। সূর্যের রুদ্ররূপে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা
সমীরণ পাল ও পূর্ণেন্দু সিংহ, আমডাঙা ও বাঁকুড়া : নলকূপ খারাপ। পাইপ লাইন থাকলেও পড়ছে না জল। উষ্ণতার পারদ ঊর্ধ্বমুখী, তখন চরম জলসঙ্কটে ভুগছেন উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Paragana) আমডাঙা এলাকার বাসিন্দারা। জল সমস্যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে শাসক-বিরোধী তরজা। অন্যদিকে, বাঁকুড়ায় (Bankura) ভূগর্ভস্থ পাম্পগুলিকে সচল রাখতে কংসাবতী কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হল পুরসভা।
চাতক পাখির মতো অপেক্ষার পরেও দেখা নেই বৃষ্টির। সূর্যের রুদ্ররূপে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। এই অবস্থায় জলকষ্টের চেনা ছবি ফিরল উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায়। খারাপ হয়ে পড়ে আছে একের পর এক নলকূপ। পানীয় জলের হাহাকার এখন নিত্যদিনের সঙ্গী আমডাঙার বোদাই গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাগাজীপাড়ায় বাসিন্দাদের।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, বাড়ি বাড়ি পাইপলাইন পৌঁছে দিয়ে কল বসানোই সার। সেই কল থেকে মিলছে না পরিশ্রুত পানীয় জল। আমডাঙার এক বাসিন্দা বলেন, জলের কল খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। ট্যাপ কলের জন্য লাইন করা, কিন্তু চালু হয়নি।
পানীয় জলের একমাত্র ভরসা গ্রামের সীমান্তে থাকা একটিমাত্র সচল নলকূপ। স্থানীয় এক মহিলা বলেন, জলে আনতে অনেক দূর যেতে হয়। গরমে মাথা ঘুরে পড়ে যাই। কিন্তু কী করব।
এই পরিস্থিতিতে পানীয় জল নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে বিজেপি-তৃণমূল তরজা। আমডাঙার বিজেপি নেতা জয়দেব মান্না বলেন, ৮ বছর আগেই নলবাহিত জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রোজেক্ট নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ গুরুত্ব দেয়নি রাজ্য। পাইপ লাইন তৈরি হলেও, এখনও জল চালু হয়নি। এর দায় প্রশাসনের।
যদিও আমডাঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা মোস্তাক আহমেদ বলেন, বোদাই গ্রাম পঞ্চায়েত এখনও গঠিত না হওয়ায় উন্নয়নের কাজে সমস্যা হচ্ছে। লিখিতভাবে জলের অভাব জানানো হলে তদন্ত করে দেখা হবে ।
রাজনৈতিক তরজার মধ্যেই দ্রুত জল সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও। আমডাঙার বিডিও সৌমেন বণিক বলেন, খারাপ টিউবয়েলগুলি দ্রুত সরিয়ে তোলা হবে।
অন্যদিকে, বাঁকুড়ায় তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে আগেই ! পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পানীয় জলের সঙ্কট। চাঁদি-ফাটা গরমে শুকিয়ে যাচ্ছে নদী-পুকুর-খাল-বিল! এই পরিস্থিতিতে ভূগর্ভস্থ পাম্পগুলিকে সচল রাখতে সেচ দফতরের শরণাপন্ন হল বাঁকুড়া পুরসভা।
বিশেষ পদ্ধতিতে কংসাবতীর জল দ্বারকেশ্বর নদে ফেলার জন্য দেওয়া হল চিঠি । এর ফলে পানীয় জলের সঙ্কট অনেকটাই দূর করা যাবে বলে দাবি বাঁকুড়া পুরসভার।