WB Budget 2025: কেউ দেখছেন আশার আলো, কারও মনে অসন্তোষ; ভাঙন রোধে বাজেটে বরাদ্দে কী প্রতিক্রিয়া স্থানীয়রা?
WB Budget 2025: বুধবার, বাংলার বাজেট গঙ্গা ভাঙন রোধে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

কলকাতা: বর্ষার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা মানেই কপালে ভাঁজ পড়ে নদী তীরবর্তী মানুষের। বুধবারই সেই সব মানুষের জন্যই উদ্যোগী হয় রাজ্যের সরকার। বাংলার বাজেটে নদী ভাঙন রোধে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিম ভট্টাচার্য। বরাদ্দের ঘোষণায় কোনও জেলায় স্বস্তি। কোনও জেলায় রয়েই গেল অসন্তোষ।
বন্যার হাত থেকে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের বাঁচাতে এবার উদ্যোগী রাজ্য সরকার। বুধবার, বাংলার বাজেট গঙ্গা ভাঙন রোধে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেটে উল্লেখ করা হয়, নদী-ভাঙন রোধে একটি সামগ্রিক 'মাস্টার প্ল্যান' তৈরি করা আবশ্যক। সেই উদ্দেশ্য়েই, ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই পরিকল্পনার ভিত্তি হবে, 'হাইড্রোলজিক্যাল মডেল' এবং এর 'প্রুফ অফ কনসেপ্ট' হবে কিছু পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে। গঙ্গা ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে প্রথমেই এ রাজ্যের তিন জেলা মালদা, মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার নাম আসে। মালদার মানিকচক থেকে বৈষ্ণবনগর। প্রতি বছর ভাঙনে প্লাবিত হয় এই এলাকায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকা। তার মধ্যে পড়ে কালিয়াচক, মোথাবাড়ি দুই, রতুয়া এক নম্বর ব্লকও। ২০২৫ - ২৬ এর বঙ্গ বাজেটে গঙ্গা বাঁধের বরাদ্দ ঘোষণায় তাই খানিক স্বস্তিতে সেখানকার মানুষ। মানিকচকের বাসিন্দা মহম্মদ নাসিরুদ্দিন বলেন, "অতি শীঘ্রই যেন এই কাজটা করা হয়। তাহলে আমরা উপকৃত হব। অনেকগুলো পরিবার নিরাপত্তায় থাকব।''
মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গা ও পদ্মার ভাঙনের প্রকোপে পড়ে প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সামশেরগঞ্জ ব্লক। এছাড়াও, এই তালিকায় রয়েছে লালগোলা, জলঙ্গি, ভগবানগোলা, ফরাক্কা বুধবারের বাজেট ঘোষণায় আশার আলো দেখেছে মুর্শিদাবাদও। সামশেরগঞ্জের এক বাসিন্দা বলেন, "জানি না কতদূর কী হবে, কিন্ত আশাবাদী আমরা।'' রাজ্যকে বারে বারে দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা। কিন্তু বারবার বন্য়ায় বেহাল হয়ে পড়ে। সুন্দরবনের মধ্যে পড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মোট ১৩টি ব্লক। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার নদী বাঁধের মধ্যে বেহাল দেড় থেকে দুই হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ। নামখানার এক বাসিন্দার অভিযোগ, "যখনই কাজ করতে আসে তাঁদের জিজ্ঞেস করলে বলে না কিছু হবে না। কোনও কাজ করছে না। আতঙ্ক হচ্ছে।''


















