(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Mamata Banerjee: গুরুদেবকে সশ্রদ্ধ প্রণাম, যাঁরা বাংলাকে ভালবাসেন...শান্তিনিকেতনের UNESCO স্বীকৃতিতে লিখলেন মমতা
UNESCO Heritage Santiniketan: রবিবার সন্ধেয় শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্রের তকমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে UNESCO. তার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলার মানুষকে অভিনন্দন জানান মমতা।
কলকাতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে তৈরি শান্তিনিকেতন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নিরিখে শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্রের তকমা দিল রাষ্ট্রপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন UNESCO. সেই ঘোষণার পরই সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সশ্রদ্ধ প্রণাম জানালেন কবিগুরুকেও। (UNESCO Heritage Santiniketan)
রবিবার সন্ধেয় শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্রের তকমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে UNESCO. তার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানান মমতা। তিনি লেখেন, 'আমাদের শান্তিনিকেতন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, শেষ মেশ UNESCO-র বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্র তালিকার অন্তর্ভুক্ত হল। বিশ্ব বাংলার গর্ব, শান্তিনিকেতনকে কবি সযত্নে লালন করেছিলেন এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধকে বাংলার মানুষ সহযোগিতা করে এসেছেন'।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা আরও লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে গত ১২ বছর ধরে পরিকাঠামোগত ভাবে সহযোগিতা করেছি আমরা। এবার গোটা বিশ্ব শান্তিনিকেতনের গৌরবকে স্বীকৃতি দিল। যাঁরা বাংলাকে ভালবাসেন, যাঁরা কবিকে ভালবাসেন, তাঁর সৌভ্রাতৃত্বের বার্তাকে ভালবাসেন, সকলকে অভিনন্দন। জয় বাংলা। গুরুদেবকে প্রণাম'।
Glad and proud that our Santiniketan, the town of Gurudev Rabindranath Tagore, is now finally included in UNESCO's World Heritage List. Biswa Bangla's pride, Santiniketan was nurtured by the poet and has been supported by people of Bengal over the generations. We from the…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) September 17, 2023
সৌদি আরবের রিয়াধে UNESCO-র ওয়র্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠক চলছে। ১০ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে বৈঠক, চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। শনিবার সেখানেই শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্রের তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হল।
১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন আবাসিক স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেন। তার র ১৯২১ সালে বিশ্বভারতীর যাত্রার সূচনা। ১৯৫১ সালে বিশ্বভারতীর স্বীকৃতিলাভ। গোটা জীবনের সব অর্জন, সঞ্চয়ের আধার হিসেবে শান্তিনিকেতনকে ব্যাখ্যা করেছিলেন কবি। শান্তিনিকেতনকে রক্ষা করতে দেশবাসীর আদর ও যত্ন প্রয়োজন বলে মহাত্মা গাঁধীকে পাঠানো চিঠিতে লেখেন কবি।
১৯২১ সালে, ১ হাজার ১৩০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠা। রবীন্দ্রনাথের নামেই নামকরণ হয় প্রথমে। ১৯২২ সালের মে মাসে বিশ্বভারতী সোসাইটির প্রতিষ্ঠা হয়। জমি-বাংলো-সহ নিজের বিষয়-সম্পত্তিও বিশ্বভারতী সোসাইটিকে দান করেন রবীন্দ্রনাথ। স্বধীনতার আগে পর্যন্ত কলেজ ছিল। ১৯৫১ সালে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। বিশ্বভারতীর প্রথম উপাচার্য ছিলেন রীবন্দ্রনাথের ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের দাদু ক্ষীতিমোহন সেন দ্বিতীয় উপাচার্য হন।